তারুণ্যের জোয়ারে এ যেনো নতুন এক বাংলাদেশ

|

সরকার মাজহারুল মান্নান:

এ যেনো নতুন এক বাংলাদেশ। চারিদিকে তারুণ্যের জোয়ার। নিজেদের দেশকে ঢেলে সাজাতে কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। পথঘাটের ময়লা-আবর্জনা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করছেন। সেই সাথে নতুন বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চান, তা ফুটিয়ে তুলছেন গ্রাফিতি আর দেয়ালিকায়।

কিছুদিন আগেই রংপুর শহরের প্রায় প্রতিটি দেয়ালেই গ্রাফিতি আর দেয়ালিকার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলো শিক্ষার্থীরা। আর এখন সেগুলো আবার তুলেও ফেলছেন তারা। দিচ্ছেন নতুন রূপ, আঁকছেন নতুন কোনো স্বপ্ন।

রংপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী লামিয়া মিশকাত তরিকার অভিব্যক্তিতে সুস্পস্টও হলো সেটি। জানালেন। যেমন বাংলাদেশ তারা চান সেটিই ফুটিয়ে তুলছেন রঙের তুলিতে।

এ বিষয়ে তারা বলেন, আগে যেগুলো তারা লিখেছেন সেগুলো ক্ষোভ থেকে লেখা। আর এখন যেগুলো লিখছেন, আঁকছেন সেগুলো তাদের অর্জন ও স্বপ্ন।

তার মতো রংপুর জেলা স্কুলের দেয়ালে আঁকছিলেন আহসান উল্লাহ ইউনিভার্সিটির মাঈশা তাহসিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লামিশা মারজান, হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদিয়া আরবীর মতো শিক্ষার্থীরাও। গ্রাফিতিতে তারা তুলে ধরছেন নতুন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।

রুপান্তরের বাংলাদেশ করতে গিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষে রংপুরে অপরিচ্ছন্ন রাস্তা-স্থাপনা পরিস্কারের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। যাতে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসাসহ সবাই। প্রশাসনবিহীন সময়টাতে ট্রাফিকিংও করছেন তারা। তাদের কণ্ঠের দৃপ্ত উচ্চারণ, যা আমলে না নেয়ার সুযোগ নেই কারোই।

শুধু রাস্তাঘাট আর স্থাপনা নয়, শিক্ষার্থীরা চায় ময়লা থেকে পরিচ্ছন্ন হোক পুরো রাষ্ট্র। সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, অন্যায্যতা দূর হোক স্বাধীন বাংলাদেশে।

এদিকে সচেতন নাগরিকরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের কণ্ঠের ক্ষিপ্রতা বোঝার এখনই সময় নীতি নির্ধারকদের। তাদের মনস্তত্ব বুঝেই দেশগড়া শুরু করতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply