সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ আটদফা দাবি

|

সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান এবং অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ আটদফা দাবি জানিয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এর জন্য তিনদিন সময় বেঁধে দেয়া হয়। অন্যথায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে।

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ৩টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে জড়ো হন তারা। এ সময় তারা ‘আমার দেশ সবার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘ধর্ম হোক যার যার, রাষ্ট্র হোক সবার’, ‘আমার মাটি আমার মা, বাংলাদেশ ছাড়ব না’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশে থেকে আটদফা দাবি তুলে ধরেন তারা। তাদের ঘোষিত আটদফা দাবিগুলো হলো

  • সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
  • অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।
  • সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা।
  • হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা।
  • দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করা।
  • প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করা।
  • সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন করা।
  • শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি দেয়া।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরপরই সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরইপ্রেক্ষিতে এসব ঘটনার প্রতিবাদে নামে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

/এমএইচআর/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply