যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ঘিরে ব্যস্ত কমলা, পিছিয়ে নেই ট্রাম্পও

|

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি মাত্র তিন মাস। রানিংমেটকে সাথে নিয়ে সুইং স্টেটগুলো চষে বেড়াচ্ছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। শনিবার নেভাদায় প্রচারণায় অংশ নেন তিনি। ২০২০ সালে অঙ্গরাজ্যটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন বাইডেন-হ্যারিস জুটি। এবারও ধরে রাখতে চান অবস্থান।

প্রচারণা ছাড়াই অবশ্য তিন সুইং স্টেট উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানে এগিয়ে কমলা হ্যারিস। ৫ থেকে ৯ আগস্ট নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজ পরিচালিত জরিপ বলছে, অঙ্গরাজ্যগুলোয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চার পয়েন্ট পেছনে ফেলেছেন হ্যারিস।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা ইস্যু যখন এবারের নির্বাচনের অন্যতম এজেন্ডা, তখন সেই হাইপকে কাজে লাগাচ্ছেন হ্যারিস। শনিবারও গাজার স্কুলে হামলা নিয়ে প্রশ্ন করলে কৌশলী উত্তর দেন তিনি।

কমলা হ্যারিস বলেন, আমি এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করছি। ইসরায়েলি বন্দিদের বের করে আনা প্রয়োজন। আমাদের একটি জিম্মি মুক্তি চুক্তি প্রয়োজন। যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। এবং এটা এখনই হওয়া দরকার।

এর আগে, ১৯৯৬ সাল থেকেই রিপাবলিকানদের দখলে থাকা মন্টানায় সমাবেশে অংশ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভাষণে আবারও ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন কমলা হ্যারিসকে। ভাইস প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আপনি একটি সংবাদ সম্মেলন সামলাতে না পারলে, প্রেসিডেন্ট হতেও পারবেন না। আমি, হেলিকপ্টার থেকে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতাম। এর আগে কেউ এমন করতেন না। আমাকে নকল করতে চান কমলা। কিন্তু অর্ধেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েই চলে যান। জো তো আরও খারাপ। শুনতেও পান না কিছু।

নিউইয়র্ক টাইমসের জরিপ বলছে, মার্কিন ভোটারদের ৬০ শতাংশ মনে করে দেশ পরিচালনা নিয়ে সুস্পষ্ট ভাবনা ও পরিকল্পনা রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। অবশ্য খুব একটা পিছিয়ে নন হ্যারিসও।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply