চলাচলে ১০ বছরের দুর্ভোগ ঘোচালেন পঞ্চগড়ের শিক্ষার্থীরা

|

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ১০ বছর ধরে খানা-খন্দ ও ভাঙাচোরা সড়কের চিত্র পাল্টাতে এবং জনসাধারণের দুর্ভোগ কমাতে সড়ক সংস্কারে মাঠে নেমেছে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় ছাত্র সমাজ। নিজ অর্থায়নে ইটের খোয়া ভ্যানে করে নিয়ে খানা-খন্দ ও ভাঙা সড়কে দিয়ে গর্ত পুরণ করছেন তারা।

রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার কায়েতপাড়া এলাকায় উপজেলা পরিষদ গেট থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় হাফ কিলোমিটার সড়কে ইটের খোয়া ফেলে সড়কটি সংস্কার শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও কাজ শুরু করবেন বলে জানান তারা।

কথা বলে জানা গেছে, গত ১০ বছর ধরে দুর্নীতির কবলে পড়ে অসংস্কারকৃত বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনাকে নতুনভাবে সাজাতে তারা এই সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

জেলার মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও কায়েত পাড়া যুব সংঘের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, যুব সমাজের উদ্দ্যোগে শিক্ষার্থীরা মিলে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছি আমরা। কায়েতপাড়ার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। দুর্নীতি ও অপশক্তির কারণে এই সমস্যা। আমরা সেই মানুষদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং নতুনভাবে দেশকে সাজাতে পৌরসভার রাস্তাঘাট সংস্কারের এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

শিক্ষার্থী সফিক ইসলাম বাঁধন বলেন, আমাদের এই কার্যক্রমে ছাত্র সমাজসহ স্থানীয়রা একাত্বতা ঘোষণা করেছেন। আশা করি সকলের সহায়তায় আমরা নতুন করে দেশকে সাজাবো।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মায়ের কাছে সন্তান যেমন নিরাপদ, আর মা যেমন সন্তানকে আগলে রাখে। ঠিক সেভাবে এ দেশের ছাত্র-জনতা এই দেশকে আগলে রাখতে পারে। আজকের ছাত্রসমাজ দেশের প্রত্যেকটি স্তরে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে, আমরাও কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিহতের পর কর্মবিরতি পালন করছে ট্রাফিকসহ থানার পুলিশ সদস্যরা। আর এ সময়ে পঞ্চগড় জেলার রাস্তাঘাটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বিএনসিসির সদস্য ও স্কাউট সদস্যরা।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply