গ্রীষ্মকালীন দলবদলে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে অ্যাস্টন ভিলা

|

চলছে গ্রীষ্মকালীন দলবদল। সেই দল বদলে বরাবরের মতো এবারো শিরোনামে ইউরোপের ক্লাবগুলো। এই দলবদলে বিলিয়ন ডলার ইউরো খরচ করে ইউরোপের শীর্ষ লিগের ক্লাবগুলো। শুধু নামী দামী ফুটবলারই নয়, মাঠের পারফর্মেন্সও বিবেচনা করা হয় দল বদলে।

চলতি দলবদলের এখনও বাকি প্রায় মাসখানেক। এক কিলিয়ান এমবাপ্পে ছাড়া আর কোনো বড় নাম এখন পর্যন্ত ঠিকানা পরিবর্তন করেননি। তারপরও বেশকিছু ক্লাব টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছে পছন্দের ফুটবলারকে নিজেদের ডেরায় ভেড়াতে।

তবে অর্থ খরচে এখন পর্যন্ত শীর্ষে যে ক্লাবের নাম তা শুনলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে পারে। ম্যান ইউনাইটেড-ম্যানসিটি কিংবা চেলসি নয়, চলতি দল বদলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে অ্যাস্টন ভিলা। কারণ দীর্ঘ ৪১ বছর পর ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় খেলতে যাচ্ছে ক্লাবটি। সবশেষ খবর অনুযায়ী ফুটবলার কিনতে ১৭৬ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে ভিলা।

এরপরই আছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। স্কোয়াডের শক্তি বাড়াতে এখন পর্যন্ত ১৪৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে বাভারিয়ানরা। পিছিয়ে নেই ক্লাব লিঁও। পিএসজির আধিপত্যকে দমাতেই ১৩৪ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে লিঁও। খরচের তালিকায় শীর্ষ পাঁচের পরের দুটি ক্লাব চেলসি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সাবেক দুই ইপিএল চ্যাম্পিয়ন এখন পর্যন্ত খরচ করেছে ১০০ মিলিয়ন ইউরো।

ক্লাবের পর এবার আসা যাক ট্রান্সফার উইন্ডোর দামী খেলোয়াড়ের তালিকায়। কিলিয়ান এমবাপ্পের মার্কেট ভ্যালু ১৮০ মিলিয়ন ইউরো হলেও তাকে ফ্রিতে পেয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া এবারের দলবদলে লিঁল থেকে সর্বোচ্চ ৬২ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে লেনি ইয়োরোকে দলে ভিড়িয়েছে ম্যান ইউনাইটেড। এরপর আছেন মৌসা দিয়াবে। ৬০ মিলিয়ন ইউরোতে সৌদি ক্লাব আল ইত্তিহাদ দলে নিয়েছে এই উইঙ্গারকে।

এভারটন থেকে আমাদু ওনানাকে দলে নিতে অ্যাস্টন ভিলার খরচ হয়েছে ৫৯.৩৫ মিলিয়ন ইউরো। ক্রিস্টাল প্যালেস থেকে মাইকেল ওলিসকে দলে নিতে বায়ার্নের খরচ হয়েছে ৫৩ মিলিয়ন ইউরো। শীর্ষ পাঁচের শেষ নামটা ডগলাস লুইজের। ৫১.৫ মিলিয়ন ইউরোতে অ্যাস্টন ভিলা থেকে য়্যুভেন্টাসে নাম লিখিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply