হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় এখন অনেকটাই ধ্বংসস্তুপ। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে কাউন্সিলররাও সবাই পলাতক। তাই চসিকের ৪১ ওয়ার্ডে বেশিরভাগ কার্যালয়ে সেবা বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনীয় সনদ না পেয়ে বিপাকে সেবাপ্রার্থীরা। পট পরিবর্তনের পর থেকে মেয়র ও কাউন্সিলররা সকলেই লাপাত্তা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সবাই এসে ফেরত যাচ্ছে। কোনো সেবা নেই। চসিকের ওয়ার্ডগুলোর অবস্থা বেহাল। আরেকজন বলেন, যারা সেবা নিতে আসছে কেউই কোনো সেবা পাচ্ছে না। তারা খালি হাতেই ফিরে যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে সই করাতে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে থাকা আরবান স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোও অনেকটা বিধ্বস্ত। ভস্মিভূত হয়ে গেছে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট, টিকা কার্ডসহ অনেক নথিপত্র।
এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের কর্মকর্তা বলেন, কোনো কিছুই নেই। আমরা অফিস থেকে সেবা বই এনে আবার নতুন করে রেজিস্ট্রার চালিয়ে কাজ সারছি।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী কাউন্সিলররা সবাই আওয়ামী লীগের। চসিকের হিসাব মতে, ৪১টি ওয়ার্ড অফিসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩২টি।
বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই পুরোদমে কাজ শুরু করা যাবে।
/এনকে
Leave a reply