ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অনেক শোবিজ তারকা। আবার অনেকেই ছিলেন নিশ্চুপ। তো কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৎকালীন সরকারের হয়ে সাফাই গেয়েছেন। চেয়েছেন সুবিধাভোগী হতে। তবে জনগণের বিজয়ের পর অনেকেই মুখের তালা ভেঙে কথা বলতে শুরু করেছেন! এবার আন্দোলনে নিজের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুললেন বিতর্কিত উপস্থাপক শাহিয়ার নাজিম জয়। চাইলেন জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা না রাখতে পারায় তিনি জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। জয় বলেন, ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা না রাখতে পারার জন্য আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাই জাতির কাছে। ক্ষমার চেয়ে বড় গুণ আর কিছু নাই। আপনারা নিশ্চয়ই আমাকে ক্ষমা করবেন। সব শিল্পীর উচিত তার অবস্থান পরিষ্কার করা।
এদিকে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়, সাজু খাদেম ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
সেই মামলা প্রসঙ্গে জয় বলেন, আমার নামে মামলা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার হত্যাচেষ্টার মামলা। যেখানে আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি মামলার এজাহার পড়েছি, যেখানে লেখা আছে—২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় অনেকের সঙ্গে আমিও ছিলাম। বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা করেছি, তাকে হত্যার চেষ্টা করেছি।
দুঃখপ্রকাশ করে জয় বলেন, খুব দুঃখ পেয়েছি। জীবনে কখনও কাউকে গায়ে হাত দেয়ার সাহস পাইনি। কারও সঙ্গে ঝগড়া বিবাদেও যাইনি। সেখানে এমন একটি ঘটনায় আমি মর্মাহত। খুবই কষ্ট পেয়েছি। আমার পরিবারের মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
এরপর তিনি বলেন, আমার কাছে সকল প্রমাণ আছে, মামলায় উল্লেখিত ১৫ এপ্রিল আমি শুটিংয়ের কাজে নেপালে ছিলাম। আমার পার্সপোটেও বিষয়টি উল্লেখ আছে। সেদিন সকাল ১১টার ফ্লাইটে নেপালে যাই। সেসময় নেপালে একটি বড় ভূমিকম্প হয়। যে ভূমিকম্পে আমি, রুনা খান আরও অনেক তারকা আটকা পড়ে। এরপর ২৬ এপ্রিল আমরা দেশে ফিরে আসি। সেই কাগজপত্রগুলো আমার কাছে সব আছে।’
সবশেষে বিগত সরকারের আমলে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ করেছেন, সেই প্রকৃত আসামিদের বিচার দাবি করেছেন জয়।
/এটিএম
Leave a reply