সংলাপের মধ্য দিয়ে নাগরিক অংশীজনদের প্ল্যাটফর্ম ‘জনভাষ্য’র আত্মপ্রকাশ

|

ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে যে নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘জনভাষ্য’ আয়োজন করে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস ও ছাত্র জনতার প্রত্যাশার অভিমুখ’ শীর্ষক সংলাপের।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনের লেকচার থিয়েটার হলে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপের মধ্যদিয়ে জুলাই আন্দোলনের নাগরিক অংশীজনদের একটি প্ল্যাটফর্ম ‘জনভাষ্য’ আত্মপ্রকাশ করে, যার লক্ষ্য সর্বজনের নীতিভাবনা নিয়ে কাজ করা।

সংলাপে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শ্রমিক, মানবাধিকারকর্মী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১ মাস বিষয়ক কিছু পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন এবং গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট থেকে তৈরি হওয়া নতুন রাষ্ট্রে কেমন সংস্কার প্রয়োজন, তা নিয়ে আলাপ করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা এখনও গণঅভ্যুত্থানের একটি চলমান প্রক্রিয়ায় রয়েছি। আমরা যে বৈষম্যমূলক সমাজ নির্মাণের কথা ভাবছি তার মৌলিক সংস্কার কোনো টোটকা প্রক্রিয়ায় সম্ভব নয়। অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে নূন্যতম জনপ্রত্যাশা ছিল জননিরাপত্তা। আন্দোলন পরবর্তী আশু দাবি ছিল, জুলাই হতাহতদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেয়া। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভেতর একধরনের অলসতা এবং জনসম্পৃক্ততার অভাব দেখা গিয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার বিতাড়িত হলেই ফ্যাসিস্ট কাঠামো বিলুপ্তি পায় না। গত ১৫ বছর ধরে যে শক্তিশালী কালচারাল ন্যারেটিভ ফ্যাসিজম চলে আসছে, তাকে পরাহত করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ও গণমাধ্যমসহ সকল পর্যায়েই জনগণের কালচারাল ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে।

এ সময় প্যানেলিস্ট আইনজীবীরা কলোনিয়াল আইনব্যবস্থা সংস্কার করার আহ্বান জানান। সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত ফাংশনাল করা, গণহত্যাকারী আওয়ামী সরকারকে বিচারের আওতায় আনা, ফ্যাসিজম যাতে আর ফিরে না আসে সেজন্য রাষ্ট্র সংস্কার করা, আইনি কাঠামোকে সংস্কার করা, বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা, অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতার জায়গা স্পষ্ট করা, সংবিধানকে সংস্কার করা এবং দাসসূলভ গণমাধ্যমের চরিত্রকে বদলানোর বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply