ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না সৌদি আরব। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এমনটাই বলেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বক্তব্যে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি ‘দখলদারি অপরাধের’ও সমালোচনা করেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
যুবরাজ ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ‘ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অপরাধ’ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরব তার অক্লান্ত পরিশ্রম বন্ধ করবে না এবং আমরা নিশ্চিত করছি যে এটি ছাড়া সৌদি আরব ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।
শুরা কাউন্সিলে দেয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন যুবরাজ। বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে বার্ষিক এই বক্তব্য প্রদান করেন তিনি। ভাষণের আগে যুবরাজের সামনে শপথ গ্রহণ করেছেন শুরা কাউন্সিলের সদস্যরা।
যদিও, কয়েক সপ্তাহ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোচ্ছিল সৌদি আরব।
ফিলিস্তিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে জাতিসংঘও। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে ১২ মাসের মধ্যে ফিলিস্তিন থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১২৪টিই এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। প্রস্তাব অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরাইলিদের অবস্থানকে অবৈধ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, বিভিন্ন দেশকে ইসরাইলের পণ্য কেনা এবং দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আপাতত বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
/আরআইএম
Leave a reply