আগের দিনের গল্পই পুনরাবৃত্তি করলো শান্তরা। দিনের শুরুতে ফাইফার তুলে নেন হাসান মাহমুদ। ভারতের প্রথম ইনিংসে করা ৩৭৬ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ দিনের মাঝপথেই হয়েছে অলআউট, সংগ্রহে মাত্র ১৪৯ রান। এতো রানে এগিয়ে থাকলেও টাইগারদের ফলোঅন করায়নি স্বাগতিকরা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনশেষে ৮১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। আর এতেই টেস্টের দুই দিন শেষে ৩০৮ রানের লিড ভারতের।
বাংলাদেশের ইনিংসে ৯ম ওভারের ১ম বলে, আকাশ দিপের ইনকামিং ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হন জাকির। পরের বলে অভিজ্ঞ মুমিনুল হকের স্ট্যাম্পও উপড়ে গেলে ২২ রানে ৩ উইকেটের দল বাংলাদেশ। দলের ব্ড্ড প্রয়োজনে আবারে ব্যর্থ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। মোহাম্মদ সিরাজের স্ক্রাম্বল ডেলিভারিতে পরাস্থ হয়ে স্লিপে ধরা পড়েন কোহলির হাতে। মুশফিকুর রহিমও থিতু হতে পারেননি মাত্র ৮ রান করে এই ব্যাটারকে বুমরাহ ফেরালে ৪০ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে।
এরপর সাকিব আল হাসান দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। লিটকে সাথে নিয়ে তার জুটিটা চলছিলো ভালোই। কিন্তু স্কোর বোর্ডে ৫১ রান যোগ হবার পর লিটন দাস আউট হলে ৯১ রানে পড়ে ষষ্ঠ উইকেট। সাকিব ফেরেন দুর্ভাগের শিকার হয়ে। রিভার্স সুইপ করা বল মাটিতে তা লেগে, নিজের জুতায় আঘাত করে পৌছে যায় রিশাভ পন্থের গ্লাভসে। ইনিংসের সেরা ৩২ রান করেন সাকিব।
পরের গল্পটা সবার জানা। মেহেদী হাসান মিরাজের নি:সঙ্গ লড়াই। হাসান মাহমুদ ৯, তাসিকন ও নাহিদ রানা সমান ১১ রানের ইনিংস খেলে ফিরলেন আর মিরাজ অপরাজিত রইলেন ২৭ রান করে। মাত্র ১৪৯ রানে অলাউট বাংলাদেশ।
তবে অতিথিদের ফলোঅনে ব্যাটিংয়ে না পাঠিয়ে আবারো ব্যাটিং এ নামে ভারত। এবারও বল হাতে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। শুরুতে রোহিত শর্মাকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আর জয়সওয়াল পরাস্থ হন নাদির রানার পেসে। ২৮ রানে দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ভিরাট কোহলিকে ইনিংস বড় করতে দেননি মিরাজ। তেব গিল ৩৩ আর পন্থ ১২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করে স্বাগতিকরা।
উল্লেখ্য, এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে উইকেট পড়েছে ১৭টি। এই মাঠের ৯০ বছরের ইতিহাসে এক দিনে সবচেয়ে বেশি উইকেট পতনের রেকর্ড এটিই।
/এমএইচআর
Leave a reply