সাকিবের আঙুলে চোট; তামিম বললেন, ‘ম্যানেজমেন্টকে জানানো উচিত ছিল’

|

ছবি: সংগৃহীত

চেন্নাই টেস্টের শুরু থেকেই সাকিব আল হাসানকে স্বস্তি নিয়ে বল করতে দেখা যায়নি। প্রথম ইনিংসে বল করতে এসেছিলেন ৫৩তম ওভারে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে দশম ওভারে বল হাতে নিলেও সাকিবের ক্ষিপ্রতা ছিল না বোলিংয়ে। ফলে এই অলরাউন্ডারের ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে মাঠে সাকিবের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিককে। পরে ধারাভাষ্যের এক পর্যায়ে কার্তিকের কাছে তামিম ইকবাল জানতে চান, সাকিবের সঙ্গে তার কী কথা হলো এবং এত পরে বোলিংয়ে আসা বা কম বোলিং করা নিয়ে কিছু কি জানা গেল কি না।

মুরালি কার্তিক বলেন, তাকে (সাকিব) আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী কারণে সে কম বোলিং করছে…সে আমাকে যা বলেছে, তা একজন স্পিনার হিসেবে আমি অনুধাবন করতে পারছি। তার বাঁ হাতের স্পিনিং ফিঙ্গারে একটা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেটি এখন ফুলে গেছে, শক্ত হয়ে আছে। ওই আঙুলে সে বলের অনুভূতিটাও পাচ্ছে না। স্পিনার হিসেবে বলের অনুভূতিটা দরকার। এ ছাড়া তার কাঁধেও অস্বস্তি আছে।

এরপর তামিম ইকবালের ধারাভাষ্যের পালা এলে তিনি মুরালি কার্তিকের বক্তব্যের প্রসঙ্গটি ফের তুলে ধরেন। তিনি যৌক্তিক একটা প্রশ্ন তুলে বলেন, মুরালি কার্তিক বলে গেছে, আঙুলের সমস্যার কারণে সাকিব বল গ্রিপ করতে পারছে না। যদি তা-ই হয়, তাহলে বাংলাদেশ চারজন ফ্রন্টলাইন বোলার নিয়ে খেলছে। টিম ম্যানেজমেন্টের অবশ্যই জানানো উচিত, তারা এই ইনজুরির কথাটা আগে থেকেই জানত কি না।

তামিমের ইঙ্গিতটা পরিষ্কার। বাংলাদেশের স্কোয়াডে আরও দু’জন স্পিনার আছেন, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। সাকিবের আঙুলে সমস্যা থাকলে বিকল্প বেছে নেয়ার সুযোগ ছিলই।

ক্যারিয়ারজুড়ে সাকিবের বোলিং ছিল বরাবরই ধারাবাহিক। খুব বেশি বাজে সময় তার আসেনি। কিন্তু গত কয়েক মাসে বল হাতেও তিনি ছিলেন বিবর্ণ। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচে তার উইকেট ছিল একটি। পরে বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে তার উইকেট ছিল মোটে তিনটি। চার ম্যাচেই উইকেট পাননি তিনি।

পরে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতেও তাকে বল হতে সেরা চেহারায় দেখা যায়নি। গত মাসে পাকিস্তান সফরে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৭ ওভারে ১০০ রান দিয়ে কেবল একটি উইকেট নিতে পারেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য তাকে দারুণ বোলিং করতে দেখা যায় অনেক দিন পর। পাকিস্তানে দ্বিতীয় টেস্টে কেবল একটি উইকেট নিলেও বোলিং খারাপ ছিল না।

সেই ধারাবাহিকতায় কাউন্টি ক্রিকেটে তাকে জ্বলে উঠতে দেখা যায়। পাকিস্তান সফরের পর সারের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে সমারসেটের বিপক্ষে ৯ উইকেট শিকার করেন সাকিব। সেই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬২ ওভারের বেশি বোলিং করেন তিনি। তাতে জাতীয় দলের হয়েও বোলার সাকিবকে সেরা চেহারায় পাওয়ার আশা ফেরে। কিন্তু চেন্নাইয়ে আবার তিনি অনুজ্জ্বল।

এরমধ্যেই জানা গেল তার আঙুলের অস্ত্রোপচারের কথা। তবে সাকিবের সেই অস্ত্রোপচার ঠিক কোন সময়ে হয়েছে, সেটি জানাননি কার্তিক।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply