যে ফুটবলারদের জীবনে নীরব ঘাতক হয়ে আসে ইনজুরি

|

ছবি: সংগৃহীত

ফুটবলে বিপক্ষ দল ছাড়াও আরেকটি প্রতিপক্ষের সাথে নীরব লড়াই করতে হয় খেলোয়াড়দের, তা হলো ইনজুরি। ক্যারিয়ারের যেকোনো সময়ে প্রতিপক্ষের বিপজ্জনক আঘাত, অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা, নিছক অসতর্কতা কিংবা অনিচ্ছাকৃত ভুলে শেষ হয়ে যায় একজন খেলোয়াড়ের লালিত স্বপ্ন।

ইনজুরি ফুটবলেরই একটি অংশ। সব ফুটবলার ক্যারিয়ারে ছোট–বড় চোটের সম্মুখীন হন। চলতি মৌসুমে অনেক তারকা ফুটবলার পড়েছেন ভয়ানক চোটে যার সর্বশেষ সংযোজন এমবাপ্পে। এরমধ্যে বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন এবং ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রি আর খেলতে পারবেননা চলতি মৌসুমে। চোটের কারণে ৩১ বছরে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্সের ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে।

খেলোয়াড়দের মাঝে বেশ কয়েক জন আছেন যারা নিয়মিতই ইনজুরিতে পড়েন। চোটের কারণে খেলতে পারেন না বেশির ভাগ সময়।রোনালদো নাজারিও বা নেইমারের মতো এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা চোটের কারণে নিজেদের পুরোপুরি মেলেই ধরতে পারেননি।

সম্প্রতি আধুনিক ফুটবলে চোটে সবচেয়ে বেশি দিন কারা মাঠের বাইরে ছিলেন সেই তালিকা প্রকাশ করেছে ফুটবলভিত্তিক পোর্টাল পপফুট। চোটের কারণে সবচেয়ে বেশি সময় মাঠের বাইরে ছিলেন আর্সেনালের সাবেক মিডফিল্ডার আবু দিয়াবি। এই ফরাসি ফুটবলার চোট নিয়ে সব মিলিয়ে বাইরে ছিলেন ১৭৪৭ দিন। এ সময়ে ২১ বার চোটে পড়ে তিনি মিস করেছেন ৩১৪ ম্যাচ।

এই তালিকার ২ নম্বরে আছেন ইন্টার মিলানের সাবেক স্ট্রাইকার স্টেভান জোভেটিক। মন্টেনেগ্রোর এই ফুটবলার সব মিলিয়ে বাইরে ছিলেন ১৫১০ দিন। এই সময়ে ৩৫ বার চোটে পড়ে তিনি মিস করেছেন ২১১ ম্যাচ। তালিকার ৩ নম্বরে বায়ার্ন মিউনিখের কিংবদন্তি ডাচ উইঙ্গার আরিয়ান রবেন ১৫০৭ দিন মিস করেছেন চোটের কারণে। ২৪৩ ম্যাচ মিস করার পথে তিনি সব মিলিয়ে চোটে পড়েছেন ৫৮ বার।

একই অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে দুই ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা রোনালদো নাজারিও ও নেইমারকে। তালিকার আটে থাকা রোনালদো ক্যারিয়ারে আটবার চোটে পড়লেও মাঠের বাইরে ছিলেন ১৩২৪ দিন। এ সময়ে তার মিস করা ম্যাচের সংখ্যা ১৫৯টি।

লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর সবচেয়ে বড় প্রতিভাবান বিবেচিত হওয়া নেইমার বার বার থেমেছেন ইনজুরির কাছে। চোটের কারণে ১২৯৪ দিন বাইরে থেকে মিস করেছেন ২৩৩টি ম্যাচ।

ফুটবলারদের জীবনে ইনজুরি হয়ে আসে নীরব ঘাতক হয়ে, ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে গেলেও একসময় উপলব্ধি হয়ে যায় শরীর আর নিতে পারছে না। বাধ্য হয়ে অবসরে যেতে হয় খেলোয়াড়দের। প্রত্যেক প্রজন্মে ক্যারিয়ারের পূর্ণতা না পাওয়া খেলোয়াড়রা ভক্তদের মাঝে রয়ে যান এক আক্ষেপের নায়ক হয়ে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply