দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক চলছে বছর খানেক ধরে। তুর্কমেনিস্তান চায় রাশিয়ার সাথে সম্পর্কোন্নয়ন। বাণিজ্যের জন্য ক্রেমলিনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশটি। এ জন্য রাশিয়া সফর করছেন প্রেসিডেন্ট গুরবানগালি বেরদিমোহাম্মাদভ।
রাশিয়া এক সময় তুর্কমেনিস্তানের প্রাকৃতিক গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল। কিন্তু গত বছর দাম নিয়ে দরকষাকষিকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়।
বর্তমানে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় তুর্কমেনিস্তান। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কিভাবে পটানো যায়! সুচিতে গত বুধবার বৈঠক শেষে এক সাথে বসেছিলেন দুই নেতা। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন উভয়ে। এমন সময় ‘আমাদের উভয়ের একজন পারস্পরিক বন্ধু রয়েছে!’ বলেই পুতিনের দিকে অগ্রসর হলেন গুরবানগালি। সুন্দর একটি কুকুছানা তুলে দিলেন তার কোলে। বললেন, ‘এটি সারা বিশ্বের মধ্যে অদ্বিতীয় হিসেবে গণ্য আলাবাই কুকুর।’
পুতিন খুশি হয়ে গেলেন। কুকুরছানাটিকে জড়িয়ে ধরলেন বুকে। একটি চুমুও দিলেন। তারপর উভয় নেতা শুরু করেন আলাপ।
কুকুরছানাটি মূলত পুতিনকে দেয়া হয়েছে তার জন্মদিনের উপহার হিসেবে। গত ৭ অক্টোবর ৬৫ বছর পূর্ণ হয় রুশ প্রেসিডেন্টের। দেরিতে হলেও উপহার হিসেবে প্রিয় কুকুরছানা পেয়ে পুতিন যে বেজায় খুশি হয়েছেন তা তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বুঝা গেছে।
Leave a reply