ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরা এলাকাতেই শহীদ হয়েছেন ২৮ জন, আহত হয়েছেন ১৯৭ জন। এ নিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে ‘চব্বিশের উত্তরা’।
তালিকায় ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে উত্তরার তালিকায় শহীদ ২৮ জন, আহত ১৯৭ জন, নিখোঁজ ১ জনসহ মোট ২২৬ জনের তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে। বিশেষ করে ১৮ জুলাই এবং ৫ আগস্ট সবচেয়ে বেশি আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটে। বিএনএস, আজমপুর ও উত্তরা পূর্ব থানার সামনে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হতাহতদের মধ্যে ছাত্র আছে ১৯ জন এবং বাকি যারা আছেন তারা ছোটখাটো ব্যবসায়ী, দর্জি, ড্রাইভার, সিকিউরিটি গার্ড, রেস্টুরেন্ট এ কাজ করে, শিক্ষক, মোটর পার্টস মেকানিক, শ্রমিক, ফল বিক্রেতা, দোকান মালিক, রংমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, দিনমজুর, ইমাম, গার্মেন্টস শ্রমিক, বাসা বাড়িতে কাজ করে, দারোয়ান, অটোরিকশাচালক। অধিকাংশ নিহত ও আহতরা আঘাত পেয়েছে মাথায়, উরুতে, চোখে, পায়ে, কোমরে, পাজরে বুলেট, ছররাগুলি, পুলিশ ও ছাত্রলীগের লাঠিচার্জের মাধ্যমে।
এর মধ্যে গুরুতর চোখের চিকিৎসা দরকার ১৩ জনের এবং বুলেটে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসা দরকার এমন মানুষের সংখ্যা ৩৪ জন।
বুলেটে মোট আহত ও শহীদ এমন মানুষের সংখ্যা ১০৯ এবং ছোররা ১০২ অন্যান্য ৩০। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৯৪ জন, ফার্মেসিতে ১০, ক্লিনিকে ৮ এবং বাকিরা বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন।
তালিকায় বলা হয়, ২০৪ জনের চিকিৎসার কাগজপত্র আছে, ১২ জনের নেই, ১১ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়েছে। ২২৭ জনের মধ্যে ১৯৯ জনের সহায়তা প্রয়োজন, ২৮ জনের কোনো সহায়তার প্রয়োজন নেই।
১৫৭ জনের আর্থিক সহায়তা দরকার, চিকিৎসা দরকার ৮৩ জনের, জীবিকা নির্বাহের সহায়তা দরকার জন্য ৬৪ জনের, ২৪ জনের কোনো ধরনের সহায়তা প্রয়োজন নেই বলে তথ্যদাতারা উল্লেখ করেছন।
বলা হয়, ২২৭ জনের মধ্যে ১৬৪ জন কোনো সহায়তা পাননি। বেসরকারি সহযোগিতা পেয়েছেন ৩৩ জন। এছাড়া দক্ষিণখান ও উত্তরখানে গতকাল থেকে ক্যাম্পেইন চলছে। এই ক্যাম্পেইন শেষ হলে পরবর্তীতে উত্তরা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। এছাড়া আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, নিখোঁজদের সন্ধান, শহীদ পরিবারের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেয়ার দাবি জানানো হয়।
/এটিএম
Leave a reply