বর্ণবাদী মন্তব্য করে তোপের মুখে মাঞ্জরেকার, বহিষ্কারের দাবি

|

আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। এমনকি ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে অপসারণের দাবি উঠেছে এই সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। এর আগে, জাদেজা-পান্ডিয়া ও কোহলির সমালোচনা করেও তোপের মুখে পড়েন তিনি। তাকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেপড়ে লেগেছে নেটিজেনরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঠের খেলায় শুরুতেই হোঁচট খায় ভারতীয় মেয়েরা। কিউইদের বিপক্ষে ৫৮ রানের বড় পরাজয়ে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয় হারমান-স্মৃতিদের।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটিংয়ের ১১তম ওভারের ঘটনা। তখন টেলিভিশন ক্যামেরায় ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ অমল মজুমদারকে দেখানো হচ্ছিল। এ সময় মাঞ্জরেকার বলেন, অমল মজুমদারকে দেখে বেশ খুশিই মনে হচ্ছে। এটা দলের জন্য ভালো। তার পাশে আছেন আবিষ্কার সালবি, সহকারী কোচ।

ওই একই সময় মাঞ্জরেকারের সহ-ধারাভাষ্যকার ক্যামেরার ফ্রেমে থাকা তৃতীয়জনকে ইঙ্গিত করে বলেন, পাশেই আছেন মানিশ বালি। তিনি সাবেক পাঞ্জাব ক্রিকেটার এবং এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ। প্রতিউত্তরে মাঞ্জরেকার বলে ওঠেন, দুঃখিত। আমি তাকে চিনি না। উত্তরের খেলোয়াড়দের দিকে আমি খুব বেশি মনোযোগ দিই না।

ব্যাস! সাবেক এই ভারতীয় ক্রিকেটারকে এরপর থেকেই নেটিজেনরা চিনিয়ে ছাড়ছেন উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম। মাঞ্জরেকারকে বর্ণবাদী আখ্যা দিয়ে ধারাভাষ্য থেকে তার অপসারণ চেয়েছেন কেউ কেউ। সমালোচকদের মতে, মাঞ্জরেকারের এই মন্তব্যে ভারতীয় ক্রিকেটের মুম্বাইকেন্দ্রিক লবিং ফুটে উঠেছে।

এর আগে জাদেজাকে বলেছেন ছোট খেলোয়াড়, হার্দিক পান্ডিয়াকে বলেছেন সাদা বলের ক্রিকেটে ফালতু ক্রিকেটার, বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে সব সময়ই এজেন্ডা নিয়ে কথা বলেন। আর এখন বলছেন উত্তর ভারতের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে ধারণা নেই।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে এখনই নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। একজন লিখেছেন, এমন বর্ণবাদী একজন লোক কীভাবে ধারাভাষ্য প্যানেলে যাওয়ার অনুমতি পায়? তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করো। আরেকজন লিখেছেন, দুঃখজনক, তাকে অতিদ্রুত বহিস্কার করা উচিত। সঞ্জয়ের দিকে ছোঁড়া হয়েছে এরকম একের পর এক নেতিবাচক প্রশ্নের তীর।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply