দুইদিন পরই বাজবে ঢাক, শোনা যাবে শঙ্খের সুর, উলুধ্বনি আর চলবে দেবী মহামায়ার আরাধনা। পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারও সেজে উঠছে সেই ছন্দে। শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শাঁখারী বাজারের অলিগলিতে এখন ব্যস্ততা পূজা উদযাপনের। ব্যবসায়ীদের আশা, সকল শঙ্কা কাটিয়ে সবাইকে নিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে সব ধর্মের উৎসব হবে সর্বজনীন।
পূজা যখন দোরগোড়ায় তখন শাখা পলার বেচা কেনা হয়ে উঠে জমজমাট। শাখারি বাজারে যারা বহু বছর এ ব্যবসা করছেন, তারা মনে করেন, এবার বেচাকেনায় খানিকটা ভাটা পড়েছে। পূজায় বিবাহিত নারীর আনন্দকে র্পূণতা দেয় নতুন শাখা পলার ছোঁয়া।
দুর্গাপূজার আগমনে একটু বেশিই জমজমাট হয়ে ওঠে শাখারি বাজারের নিত্য জীবনযাপন। ঐতিহ্য জড়িয়ে থাকা শাখাঁরি বাজারের অলি গলিতে এখন ব্যস্ততা পূজা উদযাপনের। তবে আনন্দের রঙে সাদাকালো শঙ্কাও বিরাজ করে থেকে থেকে।
মানুষ বাঁচে আশায়। সব ধর্মের মানুষের মনের দৃঢ় রঙে ঢাকা পড়বে, সব আশঙ্কা আর উদ্বেগের বোঝাগুলো- এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের। বরাবরের মতো সব ধর্মের উৎসবের উদযাপন হবে সর্বজনীন আর রঙিন, যেখানে প্রতিচ্ছবি পাওয়া যাবে এক অসাম্প্রদায়িক আবহের।
/এটিএম
Leave a reply