বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানের ইসলামাবাদের ডি চক। পিটিআই সমর্থকরা অবরোধ করে রেখেছে টুইন সিটির প্রবেশ মুখ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। দফায় দফায় হয় সংঘর্ষ। এক সপ্তাহ ধরেই পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছে সমর্থকরা।
বিক্ষোভ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির সরকার। শনিবারই বিচ্ছিন্ন করা হয় রাজধানী ইসলামাবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শহরকে। দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। সপ্তাহজুড়েই অব্যাহত ধরপাকড়। এরপরও বিক্ষোভ দমন করা যাচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদের আইজিপি সায়েদ আলি নাসির রিজভি বলেন, ইসলামাবাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি খাইবার পাখতুনখোয়ার কয়েকজন পুলিশ এবং প্রায় দেড়শ’ আফগান নাগরিকও রয়েছে। যাদের বেশিরভাগেরই আবার বৈধ কাগজপত্র নেই।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যানুসারে, কারাবন্দি ইমরান খানের নির্দেশে চলমান বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দারপুর। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, আটক হয়েছেন তিনিও। এদিকে, ইমরান খানের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে দলের সমর্থকরা। গান্দারপুরের অবর্তমানে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেবেন পিটিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আজম সোয়াতি।
সরকার পক্ষের অভিযোগ- বিক্ষোভের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে পিটিআইয়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তাদের কাছে ভারী অস্ত্র ছিল উল্লেখ করে বিক্ষোভকারীদের সশস্ত্র আক্রমণে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে- এমন অভিযোগও তুলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসীন নাকভি।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেখানে পুলিশের কাছে অস্ত্র ছিল না, সেখানে বিক্ষোভকারীদের কাছে অস্ত্র ছিল। কমপক্ষে ৮০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
/এনকে
Leave a reply