অবশেষে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লিগ চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। বৃহস্পতিবার অকল্যান্ডে বোর্ড সভার শেষ দিন এ ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে আইসিসি। এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর শুরু হচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। দুই বছরের এ টেস্ট প্রতিযোগিতায় লড়বে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৯ দল। ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত শীর্ষে থাকা দুই দল চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্লে-অফে খেলবে। ওই বছরের জুনে ইংল্যান্ডে হবে শিরোপার লড়াই।
দুই বছরে প্রত্যেক দেশ কমপক্ষে দুই ম্যাচের ছয়টি করে সিরিজ খেলবে। এ সিরিজের তিনটি দেশের মাটিতে হবে আর তিনটি বিদেশে। তবে, ম্যাচ সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
আইসিসি’র চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর এ বিষয়ে বলেন, দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ বেশ পুরনো। এতো দিনে এসে এর একটা গ্রহণ সমাধান পাওয়া গেল।
২০২০-২০২১ মৌসুমে শুরু হবে ওয়ানডে লিগ। ১২টি পূর্ণ সদস্য ও আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়নরা খেলবে এই প্রতিযোগিতায়। ৮টি করে সিরিজ খেলবে প্রতিটি দল। প্রতিটি সিরিজ হবে সর্বোচ্চ তিন ম্যাচের। সেরা দলগুলো সরাসরি অংশ নেবে ২০২৩ বিশ্বকাপে।
তবে, পয়েন্ট পদ্ধতিসহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে এখনও রয়ে গেছে প্রশ্ন। অকল্যান্ডের এ সভাতেই আরেকটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হলো চারদিনের টেস্টকেও আংশিক স্বীকৃতি প্রদান। আগামী ডিসেম্বরে
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চারদিনের টেস্ট খেলতে প্রস্তাব ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। স্বীকৃতি চেয়েছিল আইসিসি’র।২০১৯ সাল পর্যন্ত চারদিনের টেস্টের পরীক্ষামূলক অনুমোদন দিয়েছে আইসিসি।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply