দেশের চাহিদার সিংহভাগ সবজি সরবরাহ করে যশোরের চাষিরা। তবে টানা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজির ক্ষেত ও বীজতলা। কয়েক দফায় সবজির চারা রোপণ করেও বাঁচানো যাচ্ছে না। দেরিতে রোপণ করায়, শীতের মৌসুমে বাজারে সবজি সরবরাহ করা ও কঠিন হবে। কৃষিবিভাগ বলছে, সবজি উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দেয়া হচ্ছে সার ও বীজ।
প্রতিবছর আষাঢ় মাস থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় বীজতলা প্রস্তুত করেন যশোরের চৌগাছা সড়কের কয়েকশো কৃষক। বীজ বপনের পর চারা গজালে তা বিক্রি করেন বাজারে। দূরদূরান্ত থেকে আসেন চাষিরা। পাইকাররা আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
কিন্তু গত জুলাই থেকে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতে ক্ষতির মুখে চাষিরা। ছত্রাকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে সবজির চারা। বারবার বীজতলা তৈরিতে প্রয়োজন হচ্ছে বাড়তি বীজ ও সার। গুনতে হচ্ছে দিগুণ দাম।
এবার শীতকালীন সবজি চাষের সময় উলট-পালট করে দিয়েছে বৃষ্টি। চারা রোপণের সময় এসে গেলেও চাষিরা এখনও চেষ্টা করছেন চারা উৎপাদনের। এতে পিছিয়ে যাচ্ছে শীতকালীন সবজি চাষের সময়।
বিরূপ আবহাওয়াতে চারা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে যশোর কৃষিবিভাগ। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে দেয়া হচ্ছে বীজ ও সার।
এখানকার উৎপাদিত সবজির চারা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ৩৫টি জেলায়।
/এটিএম
Leave a reply