ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার লাউতারো মার্টিনেজ: মেসি

|

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানজনক ব্যক্তিগত পুরস্কার মনে করা হয় ব্যালন ডি’অরকে। চলতি মাসের ২৮ অক্টোবর প্যারিসে থিয়েটার ডু শাটলেটে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ ব্যালন ডি’অরের গালা অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের আগে পুরস্কারটির যোগ্য দাবিদারের নাম জানালেন লিওনেল মেসি।

ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকার হাতে সর্বমোট ৮ বার শোভা পেয়েছে এই পুরস্কার। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০২৩ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন তিনি। তবে গত মৌসুমে বেশিরভাগ সময় মাঠের বাইরে থাকায় এবার আর ব্যালনের আলোচনায় নেই তিনি।

ব্যালন ডি’অরের আলোচনায় মেসি নিজে না থাকলেও আছেন তার আর্জেন্টাইন দলের সতীর্থরা। আর তাদের মধ্যেই একজনকে সবচেয়ে বেশি দাবিদার মনে করছেন তিনি। মেসির চোখে এবারের ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার লাউতারো মার্টিনেজ।

চলতি বছরটা দারুণ কেটেছে লাউতারো মার্টিনেজের। জাতীয় দলকে কোপা আমেরিকা জেতানোয় বড় ভূমিকা রেখেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ‘সিরি আ’য় ইন্টার মিলানকেও শিসঙ্গে জিতেছেন ইতালিয়ান সুপারকোপা।রোপা জিতিয়েছেন। এছাড়া কোপায় ৫ গোল করে গোল্ডেন বুটও জিতে নিয়েছেন তিনি। এতসব অর্জনের কারণেই লাউতারোকে এই পুরস্কারের যোগ্য মনে করছেন মেসি।

লিওনেল মেসি বলেন, লাউতারো দুর্দান্ত একটি বছর কাটিয়েছে, সে ফাইনালে গোল করেছে, কোপা আমেরিকায়ও হয়েছে টপ স্কোরার। যে কারও চেয়ে তারই ব্যালন ডি’অর বেশি প্রাপ্য।

আর আগে ব্যালন ডি’অরের প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিও নিয়েছেন লাউতারোর নাম। মার্তিনেজকে ব্যালন ডি’অরের ফেভারিট বলে মানছেন তিনি। লিওনেল স্কালোনি বলেন, অন্য সবার চেয়ে লাউতারোই সবচেয়ে বড় দাবিদার। আমি আশা করি সে ব্যালন ডি’অর পাবে। শুরু থেকেই লাউতারো আমাদের সাথে আছে। নিশ্চিতভাবে এখন না পেলেও, ভবিষ্যতে এটা সে পাবে। তার সামনে দারুণ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।

চলতি বছর ব্যালন ডি’ অর নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। সেই আলোচনায় বাকি সবার তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে আছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। নিজের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অসাধারণ এক মৌসুম পার করেছেন তিনি। যদিও জাতীয় দলে হয়ে বিবর্ণ ভিনি। একইসঙ্গে নাম আছে স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির তারকা রদ্রির। আলোচনায় আছে আর্লিং হাল্যান্ড-কিলিয়ান এমবাপ্পেদের নামও।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply