দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতিতে নাভিঃশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা সাধারণ মানুষের। অভিযোগ ওঠে, মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার ফলেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে ব্যবসায়ীরা। এরই জেরে গতকাল চট্টগ্রামে হুঁশিয়ারি দেন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এরপর আজ থেকে শুরু হয়েছে প্রশাসনের তোড়জোড়।
গতকাল সকালে সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগ এবং জেলার দফতর সমূহের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় আসিফ মাহমুদ বলেন, সরকারি কর্মচারি কর্মকর্তাদের মাঝে কাজে অসহযোগিতার প্রবণতা আছে। সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা সক্রিয় না হলে, তাদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ দেয়া হবে।
এ কথার একদিন না পেরোতেই আজ চট্টগ্রামের খতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীর বাজারে দেখা গেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত বাজার নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্যদের। সেখানে কর্মকর্তারা আমদানিকৃত পণ্যের কাগজ যাচাই বাছাই করে দেখেন। এছাড়াও ভোক্তা অধিদফতর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে অভিযান চালচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কমানো হয়েছে বেশ কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক। ডিম, চিনি, ভোজ্যতেলে বড় আকারের শুল্ক কমিয়েছে এনবিআর। উদ্দেশ্য ক্রেতার নাগালের মধ্যে পণ্যের দাম নিয়ে আসা। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাজারে তেমন কোনো প্রভাব নেই।
ডিমের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে চিনির দাম। ভোজ্যতেলের দামেও ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা। ক্রেতারা বলছেন, শুধু শুল্ক কমালেই হবে না। বাজারে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
/এটিএম
Leave a reply