পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী বিয়েতে রাজি হননি তরুণী। সেজন্য, পরিবারের হাতেই খুন হতে হয় তাকে। গত বছরের এপ্রিলে, ভারতের উত্তর প্রদেশে সেই ঘটনায় তরুণীর বাবাসহ চার আত্মীয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরপ্রদেশের বরেলির একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত দোষীদের এই রায় দেয়। স্থানীয় সময় রোববার পুলিশ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, তরুণীর বাবা ছাড়াও আরও চার আত্মীয়কে একই সাজা দিয়েছেন আদালত।
ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালে। তখন উত্তর প্রদেশের ফতেহগঞ্জের বাসিন্দা ওই তরুণীর বিয়ের কথা চলছিল। কিন্তু ওই এলাকার অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। তাই বাড়ির সদস্যদের কথা মতো বিয়েতে রাজি ছিল না তরুণী।
অবশেষে, ২০২৩ সালের ২২ এপ্রিল পরিবারের পছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই তরুণী। কিন্তু সমস্যা বাধে শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পরই।
প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকদের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয় তরুণীর। খবর পেয়ে বিয়ের পরের দিনই তরুণীর বাবাসহ অন্যান্য স্বজনরা এসে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে নিয়ে যান। এরপরেই গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয় তার ওপর। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
/এআই
Leave a reply