ভিনিসিয়াস জুনিয়র নয়, ২০২৪ ব্যালন ডি’অর জিতলেন স্প্যানিশ ও ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রি। লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, এসি মিলান কিংবদন্তি ও ১৯৯৫ ব্যালন ডি’অরজয়ী জর্জ উইয়াহ মঞ্চে তার নাম ঘোষণা করেন। প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
৬৪ বছর পর এই প্রথম ছেলেদের ব্যালন ডি’অর জিতলেন স্পেনের কোনো খেলোয়াড়। রদ্রির আগে সবশেষ স্প্যানিশদের হয়ে ১৯৬০ সালে এই পুরস্কার জিতেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। দ্বিতীয় স্প্যানিশ হিসেবে ছেলেদের বর্ষসেরার এই ট্রফি জিতলেন রদ্রি।
পুরস্কার নিতে ক্রাচে ভর দিয়ে মঞ্চে ওঠেন রদ্রি। এ সময় তাকে বেশ আবেগপ্রবণ মনে হয়েছে। রদ্রি গত মৌসুমে স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরো। হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও। সিটির হয়ে জিতেছেন লিগ, সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে গত মৌসুমে হেরেছেন মাত্র এক ম্যাচ। ব্যালন ডি’অরের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তৃতীয় জুড বেলিংহাম।
ডি’অর জেতার পর স্প্যানিশে নিজের বক্তব্যে রদ্রি বলেন, আমি, আমার পরিবার ও দেশের জন্য খুব খুব বিশেষ একটি দিন।
পরে ইংরেজিতে বলেছেন, প্রতিদিন উন্নতির চেষ্টা করি, নিজের খেলার মান বাড়ানোর চেষ্টা করি। আধুনিক সময়ের হোল্ডিং মিডফিল্ডারের ভূমিকায়ও আরেকটু বেশি কিছু করার চেষ্টা করি।
মাঠের বাইরে রদ্রি নিজেকে নিয়ে বলেছেন, সাধারণ মানুষ। খেলা ও নিজের পেশা উপভোগ করি। ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। মেজাজ হারানোর আগে আমি শান্ত মানুষ। ছোটদের দেখাতে চাই, পাগলাটে হওয়ার দরকার নেই। সাধারণ হয়েই পারো, নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করো।
চোট নিয়ে বলেন, আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি…এটা জীবনেরই অংশ। রদ্রি এখন পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন একান্তে কাটিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরতে চান।
প্রসঙ্গত, রদ্রির সাথে উপহার পেলেন স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকরাও। ২০০৬ সালে ফাবিও কানাভারোর পর প্রথম ডিফেন্সিভ খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতলেন রদ্রি। ম্যানচেস্টার সিটির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবেও। ইংলিশ লিগে খেলা সপ্তম খেলোয়াড় হিসেবেও ব্যালন ডি’অরজয়ী রদ্রি।
/এনকে
Leave a reply