ভারতের মাটিতে ইতিহাস রচনা করেছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের মাঠে তাদেরকেই হারিয়ে সিরিজ এখন কিউইদের পকেটে। তিন ম্যাচের এই সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে কিউইরা। প্রথম দুই টেস্টে ভুগেছে ভারতের তারকাখচিত ব্যাটিং। ব্যাট হাতে নিষ্প্রাণ ছিলেন রোহিত-কোহলিরা। প্রথম টেস্টে তো ৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতীয়রা।
এমন হারের পেছনে ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ভারতীয় কোচ। টি-টোয়েন্টির আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণেই টেস্টে দীর্ঘ সময় ক্রিজে থাকতে যে, রক্ষণাত্মক মানসিকতার প্রয়োজন, তার ওপর প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন গৌতম গম্ভীর।
ভারতের কোচ বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের ভিত হলো ডিফেন্স। টি–টোয়েন্টিতে ফ্লাট উইকেটে খেলার সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে। অন্য দলগুলোও এ সমস্যায় ভুগছে। কারণ, যতো বেশি টি–টোয়েন্টি খেলা হবে, সবাই ডিফেন্স ততো কম করবে।
স্পিন সহায়ক ভারতের মাঠ। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে ভারতকে তাদের অস্ত্রেই ঘায়েল করেছে নিউজিল্যান্ড। ১৩ উইকেট নেন কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। প্রতিপক্ষ দলের স্পিনকে খেলার সামর্থ্য নেই ভারতের ব্যাটারদের ক্রিকেট বিশ্লেষকরা এমনটা বললেও এই কথার সাথে একমত নন ভারতীয় কোচ।
গৌতম গম্ভীর বলেন, আমি তা মনে করি না। কখনও কখনও প্রতিপক্ষ দলকেও কৃতিত্ব দিতে হয়। গত ম্যাচে মিচেল স্যান্টনার অসাধারণ ছিল। তবে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাবো। আরও উন্নতি করবো। স্পিনের বিপক্ষে আমাদের দক্ষতা কমেছে বলে মনে করি না।
পুনেতে দ্বিতীয় টেস্ট তিন দিনের মধ্যে হেরেছে ভারত। গত এক যুগের মধ্যে ঘরে এটাই তাদের প্রথম সিরিজ হার। ঘরের মাঠে টানা ১৮ সিরিজ জয়ের পর হারল ভারত। এবার মিশন হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা এড়ানোর।
বিষয়টি নিয়ে গম্ভীর বলেন, ঘরে কিংবা প্রতিপক্ষের মাঠে হারলে খারাপ লাগা উচিত। এই খারাপ লাগা থেকেই আমরা উন্নতি করবো। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং টেস্ট ক্রিকেটে এখন নিয়মরক্ষার ম্যাচ বলে কিছু নেই। আমাদের এই টেস্টটি জেতা উচিত। তাতে একটি জয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিতে পারবো।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দেবেন রোহিত শর্মারা। সেখানে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে স্বাগতিকদের। ২২ নভেম্বর পার্থে শুরু প্রথম টেস্ট।
/এনকে
Leave a reply