কোনো প্রকার তদারকি ছাড়াই চলছে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। আওতা বাড়লেও নেই তদারকির সক্ষমতা। রাজধানীতে এতোদিন দেখভালের দায়িত্বে ছিল ওয়ার্ড কাউন্সিলর। বহিস্কার করার পর দায়িত্ব পায় কাউন্সিল অফিসের সচিব। কিন্তু লোকবল সংকটে ভেস্তে গেছে তদারকির উদ্যোগ। ফলে বেহাত হচ্ছে পণ্য। অসাধু কিছু ডিলার গুদাম থেকে তেল, ডাল নিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। তদারকি বাড়াতে সিটি কর্পোরেশনে কয়েকদফায় চিঠি দিয়েছে টিসিবি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।
রাজধানীর উত্তর গোড়ানে মঙ্গলবার থেকে একই স্থানে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে দুই ডিলার। দেয়া হচ্ছে চাল, তেল ও মশুর ডাল। পণ্য দেয়ার কথা শুনেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে মানুষ। ভোর থেকেই দেখা যায় আনাগোনা। অভিযোগ, বেলা গড়ালেই পাওয়া যায় না পণ্য। চাহিদার তুলনায় পণ্যের যোগান কম দেখিয়ে কার্ডধারীদের ফিরিয়ে দেয় অনেক ডিলার। বরাদ্দ করা পণ্যের বড় অংশই বাইরে বিক্রি করে দেয়া হয়।
পরিবর্তিত সময়য় টিসিবির এই বিক্রি কার্যক্রম দেখভালে নেই কেউ। ডিলাররাও স্বীকার করলেন সেই কথা। তারা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে বিক্রি দেখতে আসে না কেউ। শুধু ফোনে কাউন্সিল অফিসের সচিবকে জানালেই হয়।
ডিলারদের মাধ্যমে এক কোটি মানুষের মধ্যে ভর্তুকি দামে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে চালু করা হয়েছে ট্রাক সেল কার্যক্রম।
নজরদারি বাড়াতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে দুই দফায় চিঠি দিয়েছে টিসিবি। কিন্তু সুফল মিলছে না। বিক্রয় স্থলে যাচ্ছে না কাউন্সিল অফিসের কেউ।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ন কবীর বলেন, আমরা একটি সরকারি দরফতর হিসেবে আরেকটি সরকারি দফতরে চিঠি দিয়েছি। যার যার জায়গা থেকে কাজ করলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।
রাজধানীর লালবাগে অভিযান চালিয়ে গেল রোববার রাতে দুই লিটারের মোট ৬৫০ বোতল সয়াবিন তেল এবং ১ হাজার ৩৪০ কেজি ডাল জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযান আরও শক্ত পদক্ষেপ না নিলে মূল্যস্ফীতির এই সময়ে সুফল পাবে না সাধারণ মানুষ।
/এটিএম
Leave a reply