বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আগে রাষ্ট্রের যৌক্তিক সংস্কার হবে এবং নির্বাচন এর একটি অংশ। আওয়ামী লীগ সরকার পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলোর সংস্কারের পরে নির্বাচন হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (১০ নভেম্বর) গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েতে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছে বা আহত হয়েছে তারা শুধু ভোটের জন্য এসব করেনি। আহত অনেকের ভোটার আইডি এখনও নেই। তারা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছে। আপনারা যদি ভাবেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনাদের হাতে সংস্কারের কাজ দিয়ে আন্দোলনকারীরা ঘরে চলে যাবে তাহলে ভুল ভাবছেন।
তিনি জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে যারা গণহত্যার সাথে জড়িত, যতদিন পর্যন্ত তাদের বিচার নিশ্চিত না হয় ততদিন তাদের জনসম্মুখে আসার কোনো অধিকার নেই। আওয়ামী লীগের বিচার লগি বৈঠা থেকে শুরু হতে হবে। তাদের নৃশংসতা দেখা গেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে, শাপলা চত্বরে তারা অনেক আলেমকে রক্তাক্ত করে মেরেছে। আলেম সমাজকে দাড়ি টেনে টেনে তারা বায়তুল মোকাররম থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। গত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
হাসনাত জানান, আওয়ামী লীগ ফিরবে তবে তারা বিচারের জন্য ফিরবে। গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের নেতাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। ২ হাজার শহিদের রক্তের ওপর দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হলে তাদেরকেও প্রতিহত করা হবে।
জেনেভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের ওপর হামলা নিয়ে কথা বলেন হাসনাত বলেন, জুলুমকারীর ওপর উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই। তরুণ প্রজন্ম এবং বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিভাজনের রেখা না টানার আহ্বান জানান তিনি। এলাকায় এলাকায় মামলা ব্যবসা শুরু হয়েছে। মামলা ব্যবাসায়ীদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা দাঁড়িয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
/এএস
Leave a reply