একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৩০০ রিটার্নিং ও ৫৮১ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে।
কয়েক দিন ধরেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা নমিনেশন পেপার সংগ্রহ ও জমা দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়। এ ছাড়া স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিন ঢাকার দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা পড়েছে ৪১টি। বাকিরা আজ শেষ দিনেই জমা দেবেন। এ সময় মন্ত্রীরা সরকারি গাড়ি ও পতাকা এবং এমপিরা তাদের গাড়িতে ‘এমপি স্টিকার’ ব্যবহার করতে পারবেন না।
বিধি অনুযায়ী, মিছিল ও শোডাউন নিষিদ্ধ। কেউ যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সব রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক এ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো সরগরম হয়ে উঠেছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতিতে নানা ধরনের কৌশল নিচ্ছে।
প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রেও কৌশলী অবস্থানে দু’দল। বিদ্রোহী ঠেকাতে ও প্রতিপক্ষের প্রার্থীর অবস্থান বুঝতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অনেক আসনে দুই থেকে চারজন পর্যন্ত প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। একই আসনে জোটের শরিকদের পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীকেও টিকিট দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাগারে আটক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্যও তিনটি আসন নির্ধারণ করেছে বিএনপি। ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগের দিন ৮ ডিসেম্বর দুই জোটই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে।
এতে যাদের নাম থাকবে, তারাই চূড়ান্ত প্রার্থী হবেন। বাকিদের মনোনয়নপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
এদিকে কয়েক দিন ধরেই আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নমিনেশন পেপার সংগ্রহ ও জমা দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার আসনগুলোয়ও প্রার্থিতা সংক্রান্ত কাগজ জমা দিয়েছেন কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক দেখা গেছে। তবে এর বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
আজ শেষ দিনও মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের শঙ্কা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘন যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে সব রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
মঙ্গলবার বিকালে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো ধরনের শোডাউন করা যাবে না। কোনো প্রার্থী পাঁচ থেকে সাতজনের বেশি লোক নিয়ে আসতে পারবেন না।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।
Leave a reply