পণ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের করাচি থেকে জাহাজ এলো চট্টগ্রাম বন্দরে

|

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

পাকিস্তানের করাচি থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। এটি ছিল করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে নোঙর করা প্রথম কোনো জাহাজ। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে নৌপথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হলো।

করাচি থেকে আসা এ জাহাজে ৩৭০ একক কনটেইনার পণ্য ছিল। জাহাজটি এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনাও হয়েছে।

ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করাচি থেকে সরাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে, যা ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ। এ যাত্রা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে তুলে ধরেছে।

পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, সরাসরি শিপিং রুটটির কারণে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলে আরো সমন্বিত ও বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, এ উদ্যোগ কেবল বিদ্যমান বাণিজ্য প্রবাহকে ত্বরান্বিত করবে না, একই সঙ্গে ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় রফতানিকারকদের উভয় দিকের ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বণিক বলেন, জাহাজটি দুবাই হয়ে আসার পথে একাধিক বন্দরে ভিড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আসার আগে পাকিস্তানের করাচি বন্দরেও ভিড়েছিল। মঙ্গলবার জাহাজটি (১২ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিরুল হক বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সমুদ্রপথে নিয়মিত রুট নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভিন্ন চ্যানেলে না এনে চাল, পেঁয়াজ, ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, এমনকি পোশাকের কাঁচামাল সরাসরি আনা গেলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ। আবার পাটসহ অনেক পণ্যের রফতানিও ত্বরান্বিত হবে। তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের সংকীর্ণতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সুবিধা পাওয়ার পথকেও সংকীর্ণ করে তোলে। বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply