মেরাদিয়া-ডেমরা সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ থেকে বাচঁতে এলাকা ছাড়ছে মানুষ

|

ভাস্কর ভাদুড়ী:

দুর্ভোগের অপর নাম মেরাদিয়া-ডেমরা সড়ক। চলতি পথে হাজারো গর্ত, ভয়াবহ ধুলো কিংবা দুর্ঘটনা সবকিছুই এই সড়কের দৈনন্দিন চিত্র। দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে কেউ এলাকা ছাড়ছেন কেউবা গুটিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসা। আর যারা এখানে থাকছেন তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভরদুপুরেও ধুলোর কারণে সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি এমন যে শুধু ধুলোর জন্যই সড়কে ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। ধীরগতিতে চলতে হয় যানবাহন। শিশু থেকে বয়স্ক-প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারে না কেউই।

মেরাদিয়া বাজার পার হয়ে কিছুদূর এগুলেই চোখে পড়বে বেহাল সড়ক। এই সড়ককে, এখন আর পিচঢালা পথ বলা যায় না, পিচ উঠে সড়কের অনেকটা জুড়েই কেবল ইটের সোলিং ।

একজন এলাকাবাসী বলেন, সড়কে গাড়ি চলাচল একদম বন্ধ হয়ে গেছে। যে একবার এই রাস্তায় আসে সে আর এদিকে আসে না।

উত্তরা থেকে চিটাগাংগামী ভারী যানবাহনগুলােকে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে হয় এই সড়ক। পাশাপাশি রয়েছে ছোট যানবাহন। বেহল সড়কের কারণে দুর্ঘটনা আর যানজট এই সড়কের প্রতিদিনের চিত্র।

একজন এলাকাবাসী বলেন, নিয়মিত এই রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে মানুষজন। আজকে ও একটা বাইক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও রাস্তার বেহাল দশার কারণে ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা ভাল না বলে জানান অনেকেই।

একজন ট্রাকচালক বলেন, যদি যানজট লাগে তাহলে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা চলে যায় পথেই।

রাস্তার উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কের কিছু অংশে বালু ফেলেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এমন অপরিকল্পিত পদক্ষেপে পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে ধুলোর রাজ্যে। আর মানুষের দুর্ভোগ উঠেছে চরমে।

অন্য এক এলাকাবাসী বলেন, আধা কাজ করে রেখে চলে গেছে। এখানে যে বালু ফেলে রেখেছে এতে মানুষের বেশ ভোগান্তি হচ্ছে।

দুভোর্গ মাথায় নিয়ে প্রতিদিন বনশ্রী থেকে মেরাদিয়াগামী এই সড়কে যাতায়াত করছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুধুমাত্র ধূলাবালি কিংবা রাস্তা মেরামত নয়। এই সড়কে প্রতিদিন ঘটছে নানান ধরনের দুর্ঘটনা। যার ফলে এলাকাবাসীর কাছে তাদের প্রতিদিনের ব্যবহার করা সড়কটি এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম।

মেরাদিয়া বাজার থেকে ডেমরা পর্যন্ত এই সড়কটি দেখভালের দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের। দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান দুর্ভোগ বিবেচনায় প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু করেছেন তারা। আগামী এক মাসের মাঝেই সড়কে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও জানানো হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে।

/এসআইএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply