পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। পাশাপাশি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএসএফকে প্রতিবাদলিপিও পাঠিয়েছে বিজিবি।
আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাহিনীটির ঠাকুরগাঁও সদর দফতরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মুহাম্মদ তৌহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নিহতের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাছাড়া, সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধ, চোরাচালান দমন ও হত্যা বন্ধে টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের শিংপাড়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন। তিনি তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকার রফিকুল ইসলামের পুত্র।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকজন বাংলাদেশিসহ ভারতে গরু আনতে যান আনোয়ার হোসেন। পরে ভোরের দিকে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। বিএসএফের দাবি, ওই বাংলাদেশিরা তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করতে গেলে আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলে নিহত হন আনোয়ার। পরে তার মরদেহ নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা। সেইসঙ্গে চোরাচালানের দুটি গরুও জব্দ করা হয়।
এদিকে বিজিবি জানিয়েছে, গুলির শব্দ পেয়ে এবং চোরাকারবারি প্রতিহত করতে আট রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন পঞ্চগড়ে ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরাও। ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের একটি গরুও জব্দ করে বিজিবি।
/আরএইচ
Leave a reply