পঞ্চগড় করেসপনডেন্ট:
হিমালয় কন্যাখ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলছে শীতের দাপট। উত্তর দিক থেকে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে। মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত কুয়াশার চাঁদরে মুড়িয়ে রয়েছে পুরো জেলা। তীব্র শীত অনুভূত না হলেও ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায়।
এদিকে পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিন থেকেই সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে সকাল হলেই কেটে যাচ্ছে শীত। দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা মিলছে। এর আগে গতকাল বুধবার পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডা পড়ছে। সন্ধ্যার পর গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয়ের বাতাস কিছুটা কমেছে যার কারণে তাপমাত্রার পারদ হ্রাস পাচ্ছে না৷ তবে আগামী সপ্তাহের তাপমাত্রা পারদ আরও হ্রাস পাবে এবং শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, শীতপ্রবণ জেলা হিসেবে প্রতি বছর পঞ্চগড়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত কম্বল বিতরণ করা হয়। এবারও সরকারের কাছে আমরা এক লাখ শীতবস্ত্র পাঠানোর জন্য চাহিদা দিয়েছি, ইতোমধ্যে কিছু শীতবস্ত্র হাতে পেয়েছি। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে।
/এমএইচ
Leave a reply