সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা করেসপনডেন্ট:
ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকের পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে উন্নতির আভাস মিলেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দীর্ঘ পাঁচ মাস পর বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে যায় মিতালী এক্সপ্রেস। এ ঘটনায়, পর্যটকসহ পণ্য আমদানি-রফতানি আবার শুরু হবে বলে আশা করছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।
গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী সমস্ত ট্রেন। তার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস ও মিতালী এক্সপ্রেসের মত গুরুত্বপূর্ণ যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ট্রেন রয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল দীর্ঘ পাঁচ মাস পর বাংলাদেশ থেকে আবার ভারতে ফিরে যায় মিতালী এক্সপ্রেস। তবে যাত্রী নিয়ে নয়, যাত্রী ছাড়া। কোনো যাত্রী ছাড়াই ইঞ্জিন ও জীর্ণ ধুলোমাখা খালি বগি নিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাঁটাতারের গেট অতিক্রম করে মিতালী এক্সপ্রেস।
বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য এতোদিন ট্রেনটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের শান্টিং ইয়ারের কাছেই খোলা আকাশের নিচে পড়ে ছিল। ৫ আগস্ট যাত্রী নিয়ে ভারত থেকে যাওয়ার পর ভারতীয় রেলের তরফে ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা আসায় বাংলাদেশেই আটকে পড়ে ভারতের শিলিগুড়ি ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনটি।
সোমবার দুই দেশের সচিব পর্যায়ে বৈঠকের পরই ফিরিয়ে দেয়া হয় ভারতের কোটি টাকার এই ট্রেন। এদিন বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফে ইঞ্জিন এসে মিতালি এক্সপ্রেসের খালি বগিগুলি হলদিবাড়ি স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে যায়। সেখান থেকে ভারতীয় ইঞ্জিন ট্রেনটি হলদিবাড়ি স্টেশনের মেনটেনেন্স শেডে ট্রেনটি নিয়ে যায়।
তবে, কবে থেকে ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। তবে ঢাকার তরফ থেকে মিতালী এক্সপ্রেসের রেক ফেরত পাঠানোয় শুধু পর্যটন নয়, পণ্য চলাচলসহ অন্যান্য বিষয়েও আশার আলো দেখছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।
/এমএইচ
Leave a reply