সম্প্রতি, হিজাব পরিধান না করার কারণে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একজন হিন্দু উপজাতি নারীকে উগ্র ইসলামপন্থীদের দ্বারা মারধরের দাবি করে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়।
তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমার স্ক্যানার টিম জানায়, এই ভিডিওটি বাংলাদেশি মুসলিম কর্তৃক কোনো হিন্দু নারীকে মারধরের ঘটনার নয় বরং, এই ভিডিওটির ব্যক্তি একজন তৃতীয় লিঙ্গের মুসলিম এবং তার নাম আরোহী ইসলাম।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলা’র ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ‘সৈকতে নারীকে হেনস্তা করা সেই ঘটনার নেপথ্যে কী’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে হেনস্তার শিকার হন ওই ব্যক্তি। তবে এই প্রতিবেদন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ওই ব্যক্তির জানা যায়নি।
তবে, দৈনিক আজকের পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তার নাম আরোহী ইসলাম। তার বয়স ২০ বছর। তিনি একজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি। হেনস্তার শিকার আরোহী ইসলাম বাদী হয়ে সেসময় দুজনের নাম উল্লেখ করে এ ঘটনায় মামলাও করেন।
এ ছাড়াও, বিবিসি বাংলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী হেনস্তার ঘটনায় হয়রানির সূত্রপাত যে যুবকের মাধ্যমে, তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানায় পুলিশ।
ভিডিও দেখে জড়িতের গ্রেফতার ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করার পর পুলিশ জানায়, তার নাম ফারুকুল ইসলাম এবং তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আরোহী ইসলাম নামে তৃতীয় লিঙ্গের মুসলিম ব্যক্তিকে হেনস্তার ঘটনাকে হিন্দু উপজাতি নারীকে হেনস্তার ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর বলেও জানায় রিউমার স্ক্যানার।
/এএস
Leave a reply