বিজয় দিবস উপলক্ষে ৩ দিনে গদখালিতে তিন কোটি টাকার ফুল বিক্রি

|

যশোর করেসপনডেন্ট:

বিজয় দিবস ঘিরে ৩ দিনে ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের গদখালিতে তিন কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এবার সব রকমের ফুলের দাম বেশি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কমেছে ফুলের উৎপাদন। তাই, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমায় বাড়তি ছিল সব ফুলের দাম। চাষীদের প্রত্যাশা- বাজার এমন চাঙ্গা থাকলে, আগামী দিবসগুলোয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন তারা।

যশোর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে ফুলের রাজধানী খ্যাত পরিচিত গদখালী। সূর্য ওঠার আগেই প্রতিদিন চাষি, পাইকার ও মজুরের হাঁকডাকে মুখর হয়ে ওঠে জায়গাটি।

কৃষকেরা ক্ষেত থেকে উৎপাদিত গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁধাসহ বাহারি সব ফুল নিয়ে আসেন এই হাটে। এরপর পাইকারদের হাত ঘুরে চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

বাজারে একজন ফুল বিক্রেতা বলেন, এবার ফুলের দাম ভাল পাওয়া গেছে। গাঁধা ফুল ৬০০-৭০০ টাকা , রজনীগন্ধা ১২০০ টাকা এবং গোলাপ ১০০০-১২০০ টাকা ‘শ বিক্রি হয়েছে।

অন্য একজন ফুল বিক্রেতা বলেন, আজকের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রজনীগন্ধা ও গাঁধা ফুলের। আমরা সারাদেশে গদখালি বাজার থেকে ফুল পাঠাচ্ছি।

পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কমেছে ফুলের উৎপাদন। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বিজয় দিবসে সব ধরনের ফুলের দামই ছিল বাড়তি। বাজার এমন চাঙ্গা থাকলে আগামী দিবসগুলোতে নিজেদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা চাষিদের।

একজন ফুলচাষি বলেন, দুইবার ফসলে ক্ষতি হওয়ার কারণে আবারও ফুল চাষ করা হয়। এজন্য ফুল উঠতে দেরি হচ্ছে। আর বাজোরে ফুলের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

অন্য আর এক ফুলচাষি বলেন, বাজারে এবারের মতো ফুলের দাম পাওয়া গেলে আমরা আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে ৩ দিনে প্রায় তিন কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। বিলম্বে চাষাবাদের কারণে ফুলের উৎপাদন কম হলেও দাম বেশি থাকায় লাভবান হয়েছেন চাষিরা।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, এবার বৃষ্টির কারণে ফুলচাষিরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে বাজার দর ভাল থাকায় তারা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশাবাদী।

উল্লেখ্য, কৃষি বিভাগের তথ্য মতে যশোরের প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় ১৫ ধরনের ফুলের।

/এসআইএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply