ফেনী ১,বগুড়া ৬ ও ৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে করা রিট আবেদনের ওপর দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সকালে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন।
এখন এই আদেশের পর আইনি প্রক্রিয়া কি হবে? খালেদা জিয়ার প্রার্থিতার ব্যাপারে এই আদেশের ফলে মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। এরপর তিনি মামলাটির শুনানির জন্য অন্য একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন। সেই বেঞ্চের রায়ের ওপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি পারবেন না।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, যেহেতু খালেদার প্রার্থিতার বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছে, সুতরাং এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আদেশ আসেনি। এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধান বিচারপতি। নিয়ম অনুযায়ী তিনি এ রিট আবেদন শুনানির জন্যে তৃতীয় আরেকটি বেঞ্চ গঠন করে দিবেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, এখন নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে, তিনি শুনানির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দিবেন। আমরা আশা করি আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিমকোর্ট থেকে খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার পাবেন। এবং নির্বাচন করতে পারবেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যা গরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৩টি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত দেন।
খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নগুলো বাতিল করে দেন। পরে নির্বাচন কমিশনে খালেদা জিয়া আপীল করেন।
Leave a reply