কামাল হোসাইন, নেত্রকোণা
নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ ২৫০ জনের নামে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া থানায় পুলিশ বাদি হয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে এই দুইটি মামলা দায়ের করে।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাতটার দিকে আটপাড়া উপজেলা সদরের ইটাখালি বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মিছিলে দুর্বৃত্তরা হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে মিছিলে থাকা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাতজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন রাতে কেন্দুয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিলটি থানা সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হিলালীর রাজনৈতিক কার্যালয় ও বাসার সামনে দিয়ে গেলে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুঁড়া হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত রফিকুলের কার্যালয় ও ব্যক্তিগত দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে। রফিকুল এক পর্যায়ে তাঁর ব্যক্তিগত পিস্তল ও শটগান দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন।
পরে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়ার নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ওই সময় হিলালীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে নয়জনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলেন, আসাদুজ্জামান, সারওয়ার হোসেন, আলী হোসেন, মজনু রহমান, মামুন খান, মিজানুর রহমান, আবু হানিফ, কাজী তায়েব, মহসিন ও সিরাজুল ইসলাম। তারা সবাই যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মী।
এদিকে ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুলিশ বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় পৃথক দুইটি মামলা করে। মামলায় ২৫০ জনের মতো নাম উল্লেখ করা হয়। পরে ওই মামলায় আটক নয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী মামলার বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের আগামীকাল শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম হিলালী মুঠোফোনে জানান, ‘বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার রাজনৈতিক ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে আমার দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে বাসা ঘিরে রাখে।এখন শুনছি আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের নামে উল্টো মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সরকারি দলের সহায়তায় পুলিশ নানাভাবে আমাদের বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে। তারা একের পর এক আমার নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আমার নামে ২১টি রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছি। এই দুইটি মামলা নিয়ে ২৩টি হবে। এতে করে আমি সঠিকভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছিনা।
Leave a reply