কামাল হোসাইন,নেত্রকোণা
নেত্রকোণায় বিএনপির প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীদের নামে মামলা, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও প্রচারণায় বাধা দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। নেত্রকোনার দুটি আসনের বিএনপির দুই প্রার্থী শুক্রবার তাদের বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
এর আগে তারা রির্টানিং ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন, নেত্রকোণা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও নেত্রকোণা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের চিকিৎসক আনোয়ারুল হক।
এই দুই প্রার্থী বলেন, নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোণায় ১০টি উপজেলার মধ্যে সাতটি উপজেলায় গত দুই দিনে ১৭ টি মামলা করা হয়। মামলাগুলো সবই নাশকতা সৃষ্টি ও বিস্ফোরক আইনে। এতে আসামি করা হয় ৯০৮ জনকে। আসামিরা সবাই বিএনপির নেতা-কর্মীসহ একাদশ সংসদ নির্বাচনের বিএনপির প্রার্থীও রয়েছেন।মামলার বাদীরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।
জানা যায়, আটপাড়ায় পৃথক দুইটি মামলায় আসামি করা হয় ১০৯ জনকে। মামলার বাদী মো. রোকুনুজ্জামান। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মদনে বিস্ফোরক ও নাশকতার পৃথক তিনটি মামলার আসামি মোট ১৫২ জন। দুইটি মামলার বাদী মো. কিবরীয়া নামে এক ব্যক্তি। মামলার পর পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
মোহনগঞ্জে তিনটি মামলার বাদী তাপস ইকবাল ও হিরা মিয়া নামে স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ কর্মী। ওই তিনটি মামলায় ৫০ জনের মতো আসামি করা হয়েছে।
বারহাট্টায় দুইটি মামলার মধ্যে একটির বাদী মতিউল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগের কর্মী। ওই দুইটি মামলায় মোট আসামি ১২৩ জন।
দুর্গাপুরে দুইটি মামলায় আসামি করা হয় ৪৮ জনকে। মামলার বাদীর নাম মতিউর রহমান।
কলমাকান্দায় তিনটি মামলায় আসামি করা হয় ১৭৬ জনকে। এর মধ্যে নাশকতা মামলার বাদীর নাম পলাশ বিশ্বাস। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। অপর দুইটির বাদী স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগের কর্মী।
কেন্দুয়ায় দুই আওয়ামী লীগের নেতা বাদী হওয়া নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলায় আসামি করা হয় ২৫০ জনের মতো। মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে ১২ জনকে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোণায়-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী আনোয়ারুল হকের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ ২২ জন বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে।
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির ওই প্রার্থীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ২২ জনের মতো নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের নামে নাশকতাসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। তারা (বিএনপি) সিমপেথি পাওয়ার জন্যও নিজেরা এ কাজ করতে পারে।’
Leave a reply