বিভিন্ন হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিব্রত হলে চলবে না। এসব ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। আজ সোমবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সাথে সাক্ষাৎ শেষে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে অন্যান্য কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এসময়, নির্বাচনী প্রচারণায় একদলের পোস্টার অন্য দলের কিছুই দেখা যাচ্ছে না উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে ঐক্যফ্রন্টকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি জানান, যত বাধাই আসুক নির্বাচন থেকে সরে যাবে না ঐক্যফ্রন্ট।
এর আগে, বেলা ২টায় নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। সূত্র জানায়, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, তল্লাশির নামে তাদের বাসাবাড়িতে তাণ্ডব এবং ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগও ইসিতে জমা দেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগে ঢাকা মহানগর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, জামালপুর, ঝিনাইদহ, ভোলা, চট্টগ্রাম, শেরপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, নরসিংদী, নাটোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, রংপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, ফেনী, সিরাজগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা ও হামলা করার কথা বলা হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ড. মঈন খান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং গণস্থাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
যমুনা অনলাইন: এফএম
Leave a reply