ভোটে অংশ নিতে পারছেন না ইলিয়াসপত্নী লুনা

সিলেট-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ‘নিখোঁজ’ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

প্রার্থিতা বাতিলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লুনার করা আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। এর ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর অংশ নিতে পারছেন না ইলিয়াসপত্নী।

একই আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহহিয়া চৌধুরীর করা এক রিট পিটিশনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার লুনার প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ দেন বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।

আদালতে তাহসিনা রুশদীর লুনার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ। অন্যদিকে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মফিকুল ইসলাম বাবুল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

আদালতে করা রিট আবেদনে ইয়াহহিয়া চৌধুরী বলেন, আরপিও অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার তিন বছর পর সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার বিধান থাকলেও তাহসিনা রুশদীর লুনা ৬ মাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদ থেকে অব্যাহতি নেন।

তাই আরপিও অনুযায়ী, লুনার প্রার্থিতা অবৈধ দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন ইয়াহহিয়া চৌধুরীর আইনজীবী। তবে নির্বাচন কমিশন লুনার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। পরে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হাইকোর্টে রিট করেন ইয়াহহিয়া চৌধুরী।

আজ হাইকোর্টের আদেশের পরে আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, আদালত লুনার মনোনয়ন আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারছেন না।

তবে তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির বিধিমালায় রয়েছে আগের দিন চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে পরের দিন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে। তবু তিনি গত ১ জুলাই ডেপুটি রেজিস্ট্রারের পদ থেকে ইস্তফা দেন। চাকরি ছাড়ার ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি প্রার্থী হয়েছেন।