‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। জানা যায়, মারধরের শিকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র কয়েকজন নেতাও আছেন।
আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভেতরে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণের কথা ছিলো।
মারধরের শিকার কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তারা পূর্বনির্ধারিত ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ নামে কর্মসূচি পালনের জন্য দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অবস্থান করছিলেন। পরে ক্যাফেটেরিয়ায় সবাই খেতে বসেন। এসময় ছাত্রলীগের ৬০ থেকে ৭০ জন নেতা-কর্মী তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে।
মারধরের শিকার হন ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা বিন ইয়ামিন, জসিম উদ্দিন আকাশ, সোহরাব হোসেনসহ দশ-বারোজন। মারধরকারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মী বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মারধরের সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা টিএসসির প্রধান গেটটি বন্ধ করে দেয়। এ সময় টিএসসির ভিতরে অবস্থান করা সবাইকে এলোপাথাড়ি মারধর করে হামলাকারীরা।
হামলার বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নূর বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিনা কারণে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় দশ-বারোজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত সোহরাব হোসেনসহ চারজনকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও তারা বিভিন্ন সময় আমাদের উপর হামলা করেছে, কিন্তু প্রশাসন কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
Leave a reply