নোয়াখালী প্রতিনিধি:
ধানের শীষে ভোট দেয়ায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা গনধর্ষনের শিকার ৪ সন্তানের জননীকে দেখতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার দুপুরে সেখানে পৌছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
এসময় ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন,আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সেজন্য তারা গণ শত্রুতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের সময় তারা যে সহিংসতা করেছে, তাতে অসংস্য মানুষ আহত ও পঙ্গু হয়েছে এমনকি নোয়াখালীতে ৪ সন্তানের জননী ধর্ষিতা হয়েছে। আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র যন্ত্রকে সাথে নিয়ে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষত সুষ্টি হয়েছে। বিএনপি জনগনকে সাথে নিয়ে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
এসময় তার সাথে ছিলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো শাহজাহান, বরকত উল্যা বুলু, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জয়নুল আবেদীন ফারুক, এ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া ও আলোচিত সংসদ সদস্য প্রার্থী হিরো আলম।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ধানের শীষে ভোট দেয়ার জের ধরে রাত ১১টার দিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে সিএনজিচালকের স্ত্রী (৪০) গণধর্ষণের শিকার হন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা গৃহবধূর স্বামী, ছেলেমেয়েকে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনার পরপরই গোপনে গৃহবধূ ও আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে গৃহবধূর দাবি, নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
Leave a reply