ইব্রাহিম খলিল:
বিভিন্ন সময় হাইকোর্ট থেকে মামলার নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায়, উদ্বেগ জানিয়েছেন বিচারপতিরা। বিচার ব্যবস্থার জন্য বিষয়টিকে ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির এক মামলার শুনানিতে এ মন্তব্য করেন আদালত। এই অনিয়ম রোধে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে কাজ করতে বলেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
কুমিল্লার বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির বিরুদ্ধে বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চাঁদাবাজি, অর্থপাচারসহ বেশ কয়েকটি মামলা হয়। পরে সেগুলো স্থগিত করে রুল দিয়েছিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে বিভিন্ন সময়ে মামলার নথি গায়েবের বিষয়টি। বিচার ব্যবস্থার জন্য এরকম কার্যক্রম ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের দ্বৈত বেঞ্চ।
আদালতে উপস্থিত দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, অনেক সময় ঠিক সময়ে নথি আসছে না, নথি গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আদালত তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান বিচারপতির পরামর্শ অনুযায়ী নথি গায়েবের মতো ভয়াবহ দুর্নীতি রোধে কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমতি। কমিটির প্রতিবেদন ও পরামর্শ মতো আইনজীবী সমিতি কাজ করে যাচ্ছে।
খুরশিদ আলম খান বলেন, আদালত মতামত দিয়েছিলেন, বার যদি যথাযথ পদক্ষেপ নেয় এবং মাননীয় প্রধান বিচারপতির সাথে যদি ঘনঘন বসে তাহলে এর সুরাহা করা সহজ হবে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, অনেক সময় নথি আদালতে পাওয়া যায় না। আবার কিছু টাকাপয়সা খরচ করলে সেটি পাওয়া যায়। এটা রোধ হওয়া দরকার। আমরা সে মর্মে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। কমিটি এ বিষয়ে তার পর্যবেক্ষণ জানিয়ে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলে বিষয়টি কিছুটা লাঘব হতে পারে।
হাইকোর্টের বিভিন্ন সেকশন থেকে আইনজীবীরা যেন কোনো প্রকার বিড়ম্বনা ছাড়াই প্রয়োজনীয় নথি খুঁজে পায় সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও সুপ্রিম কোর্ট বারকে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
যমুনা অনলাইন: আইকে/টিএফ
Leave a reply