বিপিএল’র ইতিহাসে প্রথম সুপার ওভারের রোমাঞ্চ দেখা গেলো চিটাগং ভাইকিংস ও খুলনা টাইটানসের ম্যাচে। যেখানে ১ রানে খুলনাকে হারিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পরও, টানা ৪র্থ পরাজয় দেখতে হলো খুলনাকে। শুরুতে ব্যাট করে চট্টগ্রামকে ১৫২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়া খুলনা। তবে শেষ বলের নাটকীয়তায় ১৫১ রানে থামে ভাইকিংস।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত পাঁচ আসরে সুপার ওভারে গড়ায়নি কোনো ম্যাচ। বিপিএলের চলমান ষষ্ঠ আসরের ১১-তম ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়।
এ যেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক বনাম খুলনা টাইটানসের লড়াই। চট্টগ্রামের দেয়া ১২ রানের লক্ষ্য ছিল খুলনার সামনে। জয়ের জন্য ফ্রাইলিঙ্কের শেষ বলে খুলনার দরকার ছিল ৩ রান। তবে মালান ও স্টার্লিং জুটির ব্যর্থতায় ১ রানের জয়ে, টেবিলে ৪ পয়েন্ট চিটাগং ভাইকিংসের, আর শুন্য খুলনার।
সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে জুনায়েদ খানের বিপরীতে ১ উইকেটে ১১ রান তোলে চিটাগং। জবাব দিতে নেমে ফ্রাইলিংকের প্রথম ৩ বলে এক চারসহ ৭ রান নেন ব্রাফেট ও মালান। শেষ ৩ বলে দরকার ছিল ৫ রান। তবে পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকা ম্যাচের ভাগ্য নিজেদের করে নিতে পারেনি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল।
ম্যাচের শুরুতে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙ্গতে একাদশে ৪ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে খুলনা টাইটানস। তবে মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনার ভাগ্য বদলাতে পারেননি টাইটানসের দুই ওপেনার পল স্টারলিং ও জুনায়েদ সিদ্দিকি। স্টার্লিং ১৮ আর জুনায়েদ ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। দাভিদ মালানকে সাথে নিয়ে চাপ সামাল দেন আধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ। এ দু’জনের ৭৭ রানের জুটিতে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখে খুলনা। মালান ৪৫ আর ৩৩ রানে মাহমুদ উল্লাহ ফিরলে, ১৫১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় খুলনা।
জবাব দিতে নামা চট্টগ্রামের মোহাম্মদ শাহজাদকে ফিরিয়ে শুরুতেই সাফল্য পায় খুলনা। তবে প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ আশরাফুলের পরিবর্তে নামা ইয়াসির আলি আর মুশফিকুর রহিম। ইয়াসিরের ৪১ আর মুশফিকের ৩৪ রানে ভর করে লক্ষ্যের কাছে পৌঁছায় চিটাগাং ভাইকিংস। তবে ইয়াসির-সিকান্দার রাজা-মোসাদ্দেক-মুশফিকরা দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে ভাইকিংস। যদিও ফ্রাইলিঙ্কের দৃঢ়তায় শেষ ওভারে ১৮ রান তুলে ম্যাচ টাই করতে সক্ষম হয় তারা। বাইলজ অনুযায়ী ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। আর দর্শক সাক্ষী হয় বিপিএল ইতিহাসের প্রথম সুপার ওভার দেখার।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply