যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে টঙ্গী এলাকা থেকে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। ডিএমপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসাদুল্লাহকে (২৫) আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য বলে অভিহিত করেছে ডিএমপি। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগ দেয়ার আগে ২০১৫ সালে যশোরের নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সাথী ছিল বলে সে জানিয়েছে।
এদিকে আজ দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম প্রধান মনিরুল ইসলাম আসাদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সে জানিয়েছে হত্যাকাণ্ডে মোট ১৩ জন জড়িত ছিল।
এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত চারজনকে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আসাদুল্লাহকে আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। আশা করছি ব্যাপক জিজ্ঞাসাবদে আরো তথ্য পাবো। ২০১৬ সালে বাড্ডায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় হারানো অস্ত্রটিও পাওয়া যাবে।
মনিরুল বলেন, জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে বাংলাদেশে পার পাওয়া যাবে না এমনটা বুঝে গেছে জঙ্গিরা। তাই জুলহাস-তনয় ঘটনার পর আর তেমন ঘটনা ঘটে নি।
তিনি বলেন, মতমত প্রকাশের জন্য জুলহাস-তনয়কে টার্গেট করে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে উগ্রপন্থিদের একের পর এক হত্যা-হামলার মধ্যে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে লেক সার্কাস রোডের এক বাসায় ঢুকে ইউএসএইড কর্মকর্তা এবং সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
Leave a reply