যুদ্ধক্ষেত্রে তথ্য আদান প্রদানে কবুতরের ব্যবহার নতুন নয়। খ্রিস্টপূর্ব সময়কাল থেকে শুরু করে গেলো শতাব্দীর দুই বিশ্বযুদ্ধেও গোপন সংকেত আদান প্রদানে কবুতর ব্যবহৃত হয়। কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরত্বসূচক সম্মাননার নজিরও বিরল নয়।
ফরাসী সেনাবাহিনীর একটি দুর্গে কর্পোরাল সেবাস্টিয়ানের অধীনে অবস্থান করছে ২০০ কবুতর। যাদের পূর্বপুরুষ বিভিন্ন যুদ্ধের ময়দানে সঙ্গী ছিলো সেনাবাহিনীর সাথে। পায়ে বাধা যুদ্ধক্ষেত্রের মানচিত্র, ছবি, রক্তের নমুনা ও নিদর্শনা আনা নেয়া করে যারা জয় পরাজয়ে রেখেছিলো কার্যকরী ভূমিকা।
সেবাস্টিয়ান বলেন, ১ম বিশ্বযুদ্ধে কবুতর এক অর্থে ড্রোনের ভূমিকায় ছিলো। আমরা তাদের পায়ে ক্যামেরা বেঁধে দিতাম। শত্রুর সীমানায় গিয়ে সমরাস্ত্রের মজুদ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি তুলে আনতো তারা, যা আমাদের পরবর্তী হামলার ছক কষতে সহায়ক হতো।
পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্র আর গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান অনুসরণ করে দ্রুতগতিতে দীর্ঘসময় ওড়ার পারদর্শিতা, লক্ষ্যে পোঁছে আবার ফিরে আসার অভাবনীয় বৈশিষ্ট্যের কারণেই ব্যবহৃত হতো এসব কবুতর।
সময় গড়িয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশও ঘটেছে পাল্লা দিয়ে। এখন যুদ্ধে কবুতরের স্থান নিয়েছে আধুনিক সব যন্ত্র। তবুও ফরাসী সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোর হাতছাড়া করতে চায়না এসব কবুতরকে।
ফ্রেঞ্চ আর্মি সিগন্যাল কোর সদস্য সেবাস্তিয়ান আরও বলেন, কেউ এসব কবুতর পালতে চাইলে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে দিয়ে দেই আমরা। তবে শর্ত থাকে; যদি কখনও যুদ্ধ বাঁধে এবং প্রথাগত যোগাযোগ ব্যবস্থা কাজ না করে বা আমরা প্রয়োজন মনে করি, তবে ধার দিতে হবে এসব কবুতরকে।
Leave a reply