বিশ্বব্যাপি প্রশ্নোত্তর ও জিজ্ঞাসার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত কোরা। এবার বাংলাদেশ ও ভারতসহ পৃথিবীর নানা দেশের ৩০ কোটির বেশি বাংলা ভাষাভাষীকে গুরুত্ব দিয়ে চালু হলো কোরা বাংলা। ১৬ জানুয়ারি বাংলা ভাষায় প্রশ্নোত্তরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোরার একটি সংস্করণ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে বেটা ভার্সনে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের নিয়ে বাংলা ভাষায় কার্যক্রম শুরু করে কোরা।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বাংলাভাষীদের মধ্যে কোরা ব্যবহার বেড়েছে।
বাংলা সংস্করণের চালু সম্পর্কে কোরার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডাম ডি অ্যাঞ্জেলো জানান, “বিশ্বের জ্ঞান ভাগাভাগি ও তা বৃদ্ধি করতে বাংলা ভাষায় কোরা চালু হল। অনেক বাংলাভাষী কোরা ইংরেজি ব্যবহার করছেন। বাংলা ভাষাভাষীদের জানার মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে কোরা বাংলা।”
কোরা বাংলার কমিউনিটি ম্যানেজার মৃনাল ভট্টাচার্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘এটা নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষাভাষীদের জ্ঞান চর্চা ও জানাশোনার পরিধিকে দারুণভাবে বাড়িয়ে দেবে।’
বাংলাদেশের কোরায়ান জাহিদ হোসাইন খান জানান, ‘তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে এখন তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত। বাংলা ভাষায় জ্ঞান বিজ্ঞান ও তথ্য সম্প্রসারণে কোরা বাংলা দারুণ ভূমিকা রাখবে। তরুণ শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জানার দক্ষতা বাড়াবে কোরা।’
মোবাইল, ট্যাবলেট ও কম্পিউটার থেকে https://bn.quora.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোরা বাংলায় যুক্ত হওয়া যাবে।
ফেসবুকের সাবেক প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা অ্যাডাম ডি অ্যাঞ্জেলো ২০০৯ সালে কোরা প্রতিষ্ঠা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে কোরার প্রধান কার্যালয়। বর্তমানে প্রতি মাসে ৩০ কোটির বেশি মানুষ কোরা ব্যবহার করেন।
ইংরেজি ছাড়াও বর্তমানে এটি স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, ইতালিয়ান, জাপানিজ ও ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় চালু আছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ৫টির বেশি ভাষায় কোরা চালু আছে।
কোরা চালুর পর থেকেই প্রযুক্তি বিশ্বের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞদের আকর্ষণ করে। কোরা প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের করা নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তাঁরা।
এ প্ল্যাটফর্মে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফ্লিপকার্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শচীন বানসাল, উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলসসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
Leave a reply