৭ম বছর অতিক্রম করে ৮ম বছরে পদার্পণ করল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ। এ উপলক্ষে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেছে বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ অনুষ্ঠানে দেশের দু’জন প্রথিতযশা ব্যক্তিকে আজীবন সম্মাননা প্রদান, আলোচনা সভা এবং বিভাগের অনলাইন পোর্টাল ‘জেএমএস পেন ডট কম’র উদ্বোধন করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধন করেন বিশেষ অতিথি সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান এবং ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
পরে সকাল এগারোটায় জাবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য র্যালী। র্যালী শেষে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার’র সম্পাদক মাহফুজ আনামকে প্রদান করা হয় আজীবন সম্মাননা। বিভাগের সভাপতি সহকারি অধ্যাপক উজ্জল কুমার মণ্ডল তাদের হাতে আজীবন সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘সাংবাদিকতা শিক্ষা ও পেশাগত চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক। আলোচনা সভায় ড. গোলাম রহমান বলেন, “সাংবাদিকতার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে পেশাগত জীবনের বিস্তর ব্যবধান। সাংবাদিকতার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনগুলো এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। বস্তুনিষ্ঠতাই সাংবাদিকতার মূল বিষয়। গণমাধ্যমে সত্যের অপলাপ ও ফরমায়েশি সাংবাদিকতা কাম্য নয়। অপসাংবাদিকতা সমাজ, দেশ তথা মানব সভ্যতাকে কুলুষিত করে”।
পরবর্তীতে, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং পেশাগত চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে মাহফুজ আনাম বলেন, “আমরা সাংবাদিকরাই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও স্বাধীন চেতনা থাকাটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা উপলদ্ধি না করে নিজেদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন দল-মতের পক্ষে লেজুড়বৃত্তি সাংবাদিকতা করি। স্বাধীন সমাজের জন্য সাংবাদিকদের স্বাধীন এবং সমালোচক মন থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। এজন্য সাংবাদিকদেরকে প্রতিনিয়ত সমালোচক মন তৈরির চর্চা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের শোষিত এবং লাঞ্ছিত শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধি। তারা যদি তাদের হয়ে কথা না বলে তবে কে বলবে? তাদের হয়ে কথা বলার মন মানসিকতা নিয়েই তরুণ প্রজন্মকে সাংবাদিকতায় আসতে হবে।”
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভাগটির সহকারি অধ্যাপক আমিনা ইসলাম, শেখ আদনান ফাহাদ, সালমা আহ্মেদ, হাসান মাহমুদ ফয়সল, সুমাইয়া শিফাত, মীর মো.ফজলে রাব্বি, প্রভাষক নিশাত পারভেজ ও শিবলী নোমান এবং বিভাগটির বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
যমুনা অনলাইন: আরএম
Leave a reply