হাঙ্গেরিতে পাঠানো বাংলাদেশের জোড়া মাথার দুই শিশু রাবেয়া-রোকাইয়ার আজ প্রথম অপারেশন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের আলাদা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। অপারেশনের প্রথম ধাপ শুরু হবে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টায়।
ডা. গ্রেগ পাতাকির নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম এ অপারেশন পরিচালনা করবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সর্বশেষ শিশু দুটির শারীরিক সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
রাতেই তাদের আবাসিক রুম থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অস্ত্রোপচারের জন্য।
এর আগে টেকট্রোগ্রাফির রিপোর্ট চূড়ান্ত করেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি তাদের দৃষ্টিশক্তির বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
রাবেয়া-রোকাইয়ার সঙ্গে থাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. হোসাইন ইমাম জানিয়েছেন, ‘টেকট্রোগ্রাফির রিপোর্ট শিশু দুটিকে আলাদা করার পক্ষে এসেছে। ফলে এখন আর কোনো বাধা রইল না। আর এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে প্রথম ধাপের অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা।
ওই চিকিৎসক জানান, আজ যে অপারেশন হবে তার লক্ষ্য হচ্ছে- ওদের মাথার চামড়া বাড়ানোর জন্য তিনটা বিশেষ এক্সপান্ডার বসানো। এক্সপান্ডারগুলো তিন থেকে চার মাস আস্তে আস্তে ফোলানো হবে, যাতে ওদের আলাদা করার পর মাথা দুটির ক্ষত স্থান ওই চামড়া দিয়ে ঢেকে দেয়া যায়। ওদের চূড়ান্তভাবে আলাদা করার অপারেশন বাংলাদেশেই হবে।
প্রসঙ্গত, পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির ঘরে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয় যমজ রাবেয়া ও রোকাইয়া।
২০১৬ সালের ১৬ জুন অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় তাদের। অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয় এ দুই শিশুকে।
Leave a reply