দেখতে একেবারেই ভিসা কার্ডের মতো, কিন্তু আদতে তা সিম কার্ড লাগানো এক ধরনের মোবাইল ডিভাইস। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর কানে খুব ছোট আকৃতির এই ব্লুটুথ হেয়ার ডিভাইস লাগিয়ে দিলে যোগাযোগ করা যায় বাইরে থেকে, জানিয়ে দেয়া যায় প্রশ্নের উত্তর। ২০১৪ সাল থেকে এভাবে অভিনব কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির সাথে যুক্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ সৌরভ। বৃহস্পতিবার রাতে সৌরভকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে সৌরভ ও তার সহযোগী নাজমুলকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ইশতিয়াক আহমেদ সৌরভের দাবি, আমিনুল নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে এই চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ছাত্রলীগের আরও অনেকেই এ চক্রের সাথে জড়িত বলে দাবি তার।
তবে ইশতিয়াকের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত কমিটির নেতারা। অপকর্মে জড়িতদের শাস্তি চান তারাও। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, এসব অপকর্মের দায় ছাত্রলীগ নেবে না। কেউ এহেন অপকর্মে জড়িত হলেও আমরাও তাদের শাস্তি দাবি করছি।
জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি করিয়ে দিতে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকার চুক্তি হতো আগ্রহীদের সাথে। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।
এদিকে, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক সৌরভ ও তার সহযোগী নাজমুলকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না সে ব্যাপারে দু’জনকে কারণ দর্শানো নোটিশও দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি জালিয়াতি মামলায় সৌরভসহ দু’জনের রিমান্ড শুনানি হবে রোববার। বিকেলে পৌঁনে পাঁচটার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে তোলা হয় জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্য সৌরভ এবং নাজমুলকে। এসময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply