বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে এক রোগীকে জোর করে ছাড়পত্র দেয়ার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। তাদের দাবি, শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের হাতে ওই রোগীর দুই স্বজন মারপিটের শিকার হবার পর তড়িঘড়ি করে শুক্রবার ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর বাড়ি ফেরার পথেই মৃত্যু হয় মাহিয়া বেওয়া নামের ঐ বৃদ্ধা রোগীর।
রোগীর স্বজনরা জানান, জয়পুরহাটের বৃদ্ধা মাহিয়া বেওয়া হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভতি হন গত মঙ্গলবার। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে শুক্রবার দুপুরে তাকে জোর করে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাড়ি ফেরার পথেই প্রাণ যায় মাহিয়ার।
স্বজনদের অভিযোগ, জোর করে সই নেয়া হয়েছে ছাড়পত্রের মুচলেকায় (রিস্ক বন্ড)। ওয়ার্ডের ভেতর শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের মারপিটে মাহিয়ার ছেলে গাজিউল ও নাতি শান্ত রক্তাক্ত হবার পর থেকেই এমন তোড়জোড় শুরু করে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
আহত শান্ত জানান, মারপিটের পর ঘণ্টা পাঁচেক হাসপাতালের ভেতরেই আটকা ছিলেন তারা। গভীর রাতে তাদের বের করে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেয় হাসপাতালের লোকজন। পরে জয়পুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তারা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শিক্ষানবীশ চিকিৎসকরা নন, ওয়ার্ডের অন্য রোগীর স্বজনরা মিলে দুজন উত্ত্যক্তকারীকে পিটিয়েছেন। বগুড়ার পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি নিয়ে কোনো পক্ষই এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতেও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে মারপিটের অভিযোগ ওঠে শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। পরে নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টানা ধর্মঘট করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
Leave a reply